Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১২০মিটার নদীগর্ভে, জনমনে আতঙ্ক

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে : সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের বাহুকা টুটুল মোড় এলাকায় প্রায় ১২০মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ফলে ভাঙনের ভাটি এলাকা থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘর দ্রæত অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্ষার প্রারম্ভেই ভাঙছে নদী, ভাঙছে জনপদ, ভাঙছে হাজারো মানুষের কপাল। নদী এলাকা থেকে পাত্তারি গুটিয়ে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে। যমুনার তর্জন-গর্জন আর পানির ঘূর্ণাবর্তে ভাঙন এলাকার মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। জানা গেছে, গত কয়েক দিনের লাগাতার ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদী উত্তাল হয়ে হিং¯্র রূপ ধারণ করেছে। সেই সাথে পানির চাপও বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস নেমেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১২০মিটার এলাকা যমুনা গ্রাস করেছে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ভাঙন কবলিত এলাকার রিক্ত নিঃস্ব সর্বশান্ত মানুষ। তারা বাড়িঘর সহায়-সম্বল সব হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরে এই ভাঙান এলাকায় সার্ভে না করার কারণে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মন্তব্য ইতিপূর্বে অত্র এলাকায় ছোট খাটো ভাঙনের মোবাবেলা করতে পারলেও এতো বড় ধসের সৃষ্টি হতোনা। এদিকে, কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে গতকাল বুধবার বিকেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, উজানের পানি নেমে আসায় ও ভাড়ি বৃষ্টিপাতের ফলে বাঁধের পশ্চিম পাশে যমুনা নদীতে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়। সেই সাথে ভাড়ি বর্ষণ যুক্ত হওয়ায় বুধবার সকাল থেকেই ভাঙন শুরু হয়ে বিকেল ৬টা পর্যন্ত তা অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ভাঙন এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি-ঘরসহ গাছপালা ও আবাদি জমি যমুনা নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে অর্ধশত বাড়ি-ঘর, দোকানপাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজার। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রতনকান্দি ইউনিয়নের চর বাহুকা, বাহুকা, টুটুলের মোড় এলাকায় ভাঙন অব্যাহত থাকলেও কোন কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। এমনকি, এ ভাঙন মুহূর্তেও ভাঙন এলাকায় তাদের পরিচিত মুখ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সাথে ভাঙন ঠেকানোর ন্যুনতম কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে এলাকাবাসী ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন এলাকায় শতর্কিকরণের জন্য লাল নিশান টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। ভাঙন সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম ইনকিলাবকে জানান, ভাঙনের তলদেশে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এ ধস নেমেছে। পরিস্থিতি শান্ত হলে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব বলে তিনি জানান। তবে, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এবং জেলা প্রশাসক  ভাঙন এরাকা পরিদর্শন করেন এবং সবাইকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ