Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেরপুরে আদালত বর্জন নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনাধ

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা : সিনিয়নর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুমিন্নেছা ও শেরপুর জেলা জজ কর্তৃক জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোসেদ্দক ফেরদৌস এর সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ, জেলা জজ মি: কিরণ শঙ্কর হালদারের বিরুদ্ধে অদক্ষতা ও স্বেচ্চাচারিতার অভিযোগ এনে জেলা জজের অপসারন দাবীতে শেরপুর জেলা আইনজীবি সমিতি অনির্দিষ্ট কালের জন্য জেলা জজের আদালত ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুমিন্নেছার আদালত এক মাসের জন্য বর্জন চলছে। আর এ বর্জনের প্রতিবাদে অঘোষিতভাবে অন্যান্য কোর্ট গুলোতেও আদালতে কর্মরত কর্মচারীদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই ওইসব কোর্টের কর্মচারীরা কোন পিটিশন জমা নিচ্ছেন না। এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদালতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনজীবি সমিতির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের পাল্টা এ অবস্থানের কারণে জেলা আইন জীবি সমিতি ও সহকারী আইনজীবি সমিতির সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে আইনজীবি সমিতির সামনে সমাবেশ করেছে। এবং এ অবস্থার জন্য জেলা জজকে দায়ী করে সমাবেশ থেকে জেলা জজ মি: কিরন শঙ্কর হালদারের অপসারন দাবী করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন এ সমস্যা সমাধানের এখন এক মাত্র উপায় জেলা জজের অপসারণ। জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোসাদ্দেক ফেরদৌসীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমকে মোরাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার ও এডভোকেট আব্দুল মান্নান প্রমুখ। এদিকে এ বিষয়ে জেলা জজকোর্টের একাধিক কর্মচারীর সাথে কথা বললে তারা ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হনননি। তারা জানিয়েছেন, জেলা জজের বিরুদ্ধে আইনজীবি সমিতির অবস্থান বে-আইনি। তবে তারা কর্মবিরতির বিষয়ে কোন কিছু বলতে চাননি। কোর্টের এ অচলাবস্থায় বিচার প্রার্থী জনগন বেকায়দায় পড়েছে। তারাও বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বিচার প্রার্থী আব্দুর রশিদ জানান, আমরা চাই ন্যায় বিচার। উকিল সাবদের দাবী সঠিক বলেই আমাদের মনে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা বিচার চাইতে এসে এ অবস্থা চাইনা। চিার রফিক মিয়া জানান, ৭শ টাকা দরে কামলা কাজ বাদ দিয়ে কোর্টে আইসা দেহি কোট আজ বসবে না। আমরা তো বেকায়দায় আছি। আমরা এসব বুঝিনা। আমরা চাই ন্যায় বিচার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ