Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভালুকায় বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

| প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ভালুকা (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি, কাচিনা ও মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের উপর দিয়ে গত সোমববার সন্ধ্যায় বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে অন্তত কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি, বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গাছপালা, পশু-পাখি ও উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় মানুষ জীবন বাঁচাতে পরিবারের লোকদের নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন নির্মাণাধীন বহুতল ভবণ ও ঘরের খাট বা চৌকির নিচে আশ্রয় নেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হবিরবাড়ি, ছোটকাশর, বড়কাশর, জামিরদিয়া, গৌরিপুর, পাড়াগাঁও, আওলাতলী, মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের মামারিশপুর ও কাচিনা ইউনিয়নের পালগাঁওসহ বিভিন্ন গামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও আধা ঘন্টাব্যাপী শিলাবৃষ্টিতে অন্তত ১৫ হাজার ঘর-বাড়ি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এ সময় মানুষ জীবন বাঁচাতে পরিবারের লোকদের নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন নির্মাণাধীন বহুতল ভবণ ও খাট বা চৌকির নিচে আশ্রয় নেয়। ঝড়ে উপজেলার বড়চালা হোসাইনিয়া দাখিল মাদরাসার টিনের বেড়াসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও টিনের তৈরী বেশ কিছু মসজিদের চালা উড়িয়ে নিয়ে যায়। শিলাবৃষ্টিতে উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোন কোন ক্ষেতে কাঁচি লাগানো যাবেনা বলে স্থানীয়রা জানান। তাছাড়া শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার মাস্টারবাড়ি থেকে সিডস্টোর পর্যন্ত মহাসড়কে চলাচলরত প্রায় অর্ধশতাধিক প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন গাড়ির গøাস ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, ইতোমধ্যেই অতিবৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে অনেক বোরো ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তারপর পোকায় ফসল অর্ধেকে নেমে আসে। আর সোমবারের শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে সব হারিয়ে এলাকার মানুষ এখন দিশেহারা হয়ে পরেছে। ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বাচ্চু জানান, প্রায় সবগুলো এলাকা আমি ঘুরে জানতে পেরেছি প্রায় ১৫ হাজার ঘর-বাড়ি শিলাবৃৃষ্টি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া এলাকার উঠতি বোরো ধান ও ফলজ ও বনজ গাছপালা একদম ধ্বংসলিলায় পরিণত হয়েছে। তিনি এ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানষের সহযোগীতার জন্য সরকারের দৃষ্টি কামনা করেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মো: সাইফুল আজম খান জানান, হবিরবাড়ি এলাকাতো অনেকটাই আবাসিক, তারপরও যেটুকু ধানের আবাদ হয়েছে, তার মাঝে বেশ ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া কাচিনা ও মল্লিকবাড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে যে, প্রায় ৬০ হেক্টরের মতো বোরো ফসলের ক্ষতি হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ