পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৪ জন নিহত ও আহত শতাধিক : লন্ডভন্ড বসত ঘর ও ফসলের ক্ষেত
ইনকিলাব ডেস্ক : দেশের বিভিন্নস্থানে কাল বৈশাখী ঝড়ে ১৪ জন নিহত ও আহত শতাধিক। এর মধ্যে রাজশাহীতে ১১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩ জন নিহত হয়েছে। প্রচন্ড বৃষ্টির সঙ্গে বইতে থাকে দমকা বাতাসে উপড়ে পড়ে শত শত গাছ, বিধ্বস্ত হয় শতাধিক ঘরবাড়ি। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতা পাঠানো প্রতিবেদন-
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে পর পর দু’দিনের (রবি-সোম) কাল বৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় জনজীবন বিপযস্ত। প্রথম দিন ঝড়ের গতিবেগ ছিল ৯৫ কিলোমিটার। পরেরদিন তার মাত্রা কিছুটা কমলেও দু’দিনেই লন্ডভন্ড করেছে বসত ঘর ফসলের ক্ষেত। জীবনহানী ঘটেছে ছয়জনের। এমনিতে আকাশে কালো মেঘ জমলে বিদ্যুত চলে যায়। এবার দু’দিনের কাল বেশাখীর ছোবল বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরো বিপর্যস্ত করেছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় ঝড় শুরু হওয়ার সময় বিদ্যুত চলে যায়। এরপর কিছু অংশ চালু হয় ভোর রাতে। পরদিন ফের ঝড়ে বিদ্যুত চলে যায়। এরপর থেকে থেমে থেমে শহর জীবনে বিদ্যুতের আসা যাওয়া খেলা চললেও অনেক গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের দু’দিন ধরেই নেই। নগরীতে বিদ্যুতের এই আছেতো এই নেই এমন খেলায় সবচেয়ে বেশী বিঘœ ঘটাচ্ছে নগরীর পানি সরবরাহ ব্যবস্থায়। বিদ্যুত না থাকায় সব পানির পাম্প চালানো যাচ্ছেনা। ফলে পানি সরবরাহ চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। ব্যবসা কেন্দ্র গুলেঅয় বিদ্যুত বিহিন থাকছে। চার্জের অভাবে ইজিবাইকত চলাচল কমেছে। বাড়িতে আইপিএস থাকলেও এর চার্জের অভাবে তা কাজে আসছেনা। মোবাইল ল্যাবটপ চার্জ নিয়ে অনেকে বিপাকে পড়েছেন।
হাসপাতাল ক্লিনিক গুলোয় চিকিৎসায় বিঘœ ঘটছে। বিদ্যুত বিভাগ বলছে ঝড়ে বড় বড় গাছ উপড়ে লাইন ছিড়েছে। বিলবোর্ড ভেঙ্গে ৩৩ কেভি লাইনের উপর পড়ায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এসব অপসারন করে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেস্টা করা হচ্ছে। উপজেলা গুলোতে কোথাও কোথাও গাছ ও পোল ভেঙ্গে পড়ায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। ধীরে ধীরে সবঠিক করা হচ্ছে।
ঝড়ে পদ্মায় নৌকা ডুবিতে পাঁচজন নিহত
এদিকে রাজশাহীতে গত রবিবার বিকেলের কালবেশাখীর ঝড়ে পদ্মায় নৌকাডুবিতে পাঁচজন নিহত হয়েছে। প্রায় ৩৬ ঘন্টা পর গতকাল মঙ্গলবার ভোরে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে তিন কিলোমিটার দুরে জাহাজঘাট এলাকায় এসব লাশ উদ্ধার করে। নিহতরা হলো, নগরীর দরগাপাড়া এলাকার নৌকার মাঝি সারোয়ার হোসেন রফিক (৪৫), রাজশাহী কলেজের হিন্দু ছাত্রাবাসের নৈশ্যপ্রহরী রবিন (২৮), নগরীর ডাঁশমারি এলাকার আসাদুল হক (৪৫) এবং শাহমুখদুম জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবুল আহাদ (৯) ও তামিম ইকবাল (৯)। ভোরে স্থানীয়রা লাশগুলো ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ও দমকল কর্মীরা গিয়ে ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। রোববার সন্ধ্যার পর ঝড়ের কবলে পড়ে পাঁচ যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবি ঘটে নগরীর পদ্মা গার্ডেন এলাকার পদ্মায়। ঘটনার পর পর ভোর পৌনে ৪টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলে। সোমবার সকাল থেকে আবারো শুরু হয় অভিযান। দিনভর অভিযানে সন্ধান মেলেনি ডুবন্তদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৈশাখী ঝড়ে ৩ জন নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত সোমবার বিকেলে কাল বৈশাখী ঝড়ে গাছচাপা পড়ে ও বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গাছ পালা ও কাঁচা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আম ও রোরো ধানেরও ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাট ও শিবগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলার বিভিন্ন স্থানের উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এসময় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোমস্তাপুর উপজেলায়। গোমস্তাপুর থানার ওসি (তদন্ত) এস এম জাকারিয়া জানান, ঝড়ের সময় উপজেলার নিমতলা কাঁঠাল এলাকায় একটি আম গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়েলে ঘরে থাকা আসাবুল হক (৫০) নামের এক ভ্যান চালক ঘটনাস্থলে মারা যায়। এছাড়া গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-গোমস্তাপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙ্গে পড়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কয়েক ঘন্টা চেষ্টার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলায় ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে ২ নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো উপজেলার চকদৌলতপুর এলাকার রুপচান আলীর স্ত্রী ছবি বেগম (৩০) ও বিনোদপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর এলাকার রশিদের স্ত্রী মাসুমা বেগম (২৬) ।
এদিকে ঝড়ে বিদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাট ও শিবগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবারহ স্বাভাবিক হয়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান জানান, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরপনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছাতকে প্রচন্ড ঘুর্ণিঝড়ে সহ¯্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, আহত ২০
ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা জানায়, ছাতকে পাহাড়ি ঢল ও আগাম বন্যায় ধান, মাছ, হাঁস, গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষতি সাধনের রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি ঘুর্ণিঝড়ের মতো মহাবিপর্যয়ের সম্মূখিন হতে হয়েছে লোকজনকে। এখানে স্মরকালের ভয়াবহও দীর্ঘস্থায়ী ঘুর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে ১০সহ¯্রাধিক বসত-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্টান, গাছ-পালা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। ফলে মরার উপর খাড়ার ঘাঁর ন্যায় এক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার আগেই আরেক বিপর্যয়ের মূখে পড়েছেন উপজেলাবাসি। এতে মহিলাসহ আহত হয়েছেন প্রায় ২০ব্যক্তি। জানা যায়, গত রোববার (৩০এপ্রিল) রাত ১১টা থেকে উপজেলার ১৩ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার উপর দিয়ে শুরু হয় প্রচন্ড বেগে ঘুর্ণিঝড়। একটানা ঘুর্ণিঝড় চলে রাত ১২টার রও। রাত ১০টা থেকে আকাশে ছিল প্রচন্ড গর্জন। এসময় ঘুর্ণিঝড়ের শাঁ শাঁ শব্দে উপজেলার ৮৪হাজার ৪শ’ ৩০পরিবারের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসব পরিবারের কাঁচা, সেমি পাকা ঘরবাড়ি ও বিল্ডিং মালিকদের গাছ-পালাসহ তাদের কাঁচা ঘরের ব্যাপক ক্ষতি করে। ইউপি চেয়ারম্যানদের হিসেব মতে ঘুর্ণিঝড়ে প্রায় সহ¯্রাধিক বাড়ি-ঘর একেবারে বিধ্বস্ত ও আংশিক ক্ষতি করেছে আরো প্রায় ৯হাজার পবিারের। পৌরসভার প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান অদুদ আলম, দেওয়ান পীর আবদুল খালিক রাজা, আখলাকুর রহমান, মাষ্টার আওলাদ হোসেন, মাষ্টার আবুল হাসনাত, আবদুল মছব্বির, সাহাব উদ্দিন মো. সাহেল, সাইফুল ইসলামসহ অনেকে জানান, দোকানপাটসহ প্রতি ইউনিয়নে শতাধিক ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও আরো ৪থেকে ৫শ’ করে ঘরবাড়ির আংশিক ক্ষতি করে। এছাড়া ঘুর্ণিঝড়ে উপজেলায় অর্ধলক্ষাধিক গাছ-পালা বিধ্বস্ত করেছে। চেয়ারম্যানরা বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ২০জন লোক আহত হয়েছে বলে দাবি করেন। ইউপি চেয়ারম্যান শায়স্তা মিয়া ধ্বিস্ত ঘরের নীচে পড়ে মঈনপুরের আলী নূরের মায়ের একটি হাত ও আলী আসকন নামের অপর ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানিয়ে বলেন, মঈনপুর বাজারের ব্যবসায়ি রিয়াজুলের দোকানের টিনের চাল উড়িয়ে নেয়ায় ৪/৫লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছ। তিনি ইউনিয়নের ৪হাজার গাছ-পালা উপড়ে ফেলেছে বলেও দাবি করেন। এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউ রহমান চৌধুর বকুলসহ ইউপি চেয়ারম্যানরা ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান বলেন, প্রতি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকার করা হচ্ছে। অসহায়দের সাহায্যে সরকার এগিয়ে আসবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
ধোপাবিলা ডিইউ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ঝড়ে লন্ডভন্ড
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ধোপাবিলা ডিইউ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ঝড়ে উপড়ে পড়েছে। ফলে মঙ্গলবার থেকে স্কুলের দুই’শ শিক্ষার্থী ক্লাস করতে পারছে না। সকালে স্কুলে গিয়ে দেখে তাদের প্রিয় স্কুলটি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সবুরা খাতুন জানান, ধোপাবিলা ডিইউ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারী করণ না হওয়ায় আমাদের দুর্ভগের শেষ নেই। ২০১৩ সাল থেকে আমি বিনা বেতনে মাষ্টারি করছি। তিনি সরকারী ভাবে স্কুলটি মেরামতের দাবী জানান। সহকারী শিক্ষিকা পলি খাতুন জানান, স্কুলটি মেরামতে তাদের সামর্থ নেই। দ্রæত তিনি সরকারী সহায়তা কামনা করেন। স্কুলের সভাপতি শরিফুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে প্রচন্ড ঝড়ে স্কুলটি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। দ্রæত ভাবে স্কুলটি মেরামতের জন্য তিনি ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র কাছে জোর দাবী করেন। এলাকার অভিভাবক ইদু মোল্লা, মাজেদা খাতুন, আদিল উদ্দীন ও জামাল হোসেন জানান, স্কুলটি পড়ে থাকার কারণে তাদের শিশু ছেলে মেয়েরা স্কুলে গিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসছে। প্রচন্ড গরম ও রোদে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে শিক্ষকরা ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারছেন। কমুড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম শিক্ষা বিভাগের কাছে দ্রæত স্কুলটি মেরামতের দাবী জানিয়েছেন।
ভালুকায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ভালুকা (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা জানায়, ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি, কাচিনা ও মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের উপর দিয়ে সোমববার সন্ধ্যায় বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে অন্তত কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি, বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গাছপালা, পশু-পাখি ও উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় মানুষ জীবন বাঁচাতে পরিবারের লোকদের নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন নির্মাণাধীন বহুতল ভবণ ও ঘরের খাট বা চৌকির নিচে আশ্রয় নেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হবিরবাড়ি, ছোটকাশর, বড়কাশর, জামিরদিয়া, গৌরিপুর, পাড়াগাঁও, আওলাতলী, মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের মামারিশপুর ও কাচিনা ইউনিয়নের পালগাঁওসহ বিভিন্ন গামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও আধা ঘন্টা ব্যাপী বিশলা আকার শিলাবৃষ্টিতে অন্তত ১৫ হাজার ঘর-বাড়ি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এ সময় মানুষ জীবন বাঁচাতে পরিবারের লোকদের নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন নির্মাণাধীন বহুতল ভবণ ও খাট বা চৌকির নিচে আশ্রয় নেয়। ঝড়ে উপজেলার বড়চালা হোসাইনিয়া দাখিল মাদরাসার টিনের বেড়াসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও টিনের তৈরী বেশ কিছু মসজিদের চালা উড়িয়ে নিয়ে যায়। শিলাবৃষ্টিতে উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোন কোন ক্ষেতে কাঁচি লাগানো যাবেনা বলে স্থানীয়রা জানান। তাছাড়া শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার মাস্টারবাড়ি থেকে সিডস্টোর পর্যন্ত মহাসড়কে চলাচলরত প্রায় অর্ধশতাধিক প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন গাড়ির গøাস ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এলাকাবাসি জানান, ইতোমধ্যেই অতিবৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে অনেক বোরো ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তারপর পোকায় ফসল অর্ধেকে নেমে আসে। আর সোমবারের শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে সব হারিয়ে এলাকার মানুষ এখন দিশেহারা হয়ে পরেছে।
স্থানীয় সমাজসেবক বিল্লাল হোসেন জানান, সন্ধ্যায় ঝড় শেষ হলে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি যেন সবই বিধ্বস্থ্য অবস্থা, আমার টিনের তৈরী ঘরগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে এমন কি আম, কাঠালসহ বিভিন্ন ফলজ গাছের ফল ও পাতা মাটিতে পড়ে হাটু পর্যন্ত জমে আছে। পরে এলাকায় ঘুরে বিভিন্ন অসহায়দের বাসা বাড়িতে চিড়া-মুড়ি বিতরণ করি।
ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বাচ্চু জানান, প্রায় সবগুলো এলাকা আমি ঘুরে জানতে পেরেছি প্রায় ১৫ হাজার ঘর-বাড়ি শিলাবৃৃষ্টি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া এলাকার উঠতি বোরো ধান ও ফলজ ও বনজ গাছপালা একদম ধ্বংসলিলায় পরিনত হয়েছে। তিনি এ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানষের সহযোগীতার জন্য সরকারের দৃষ্টি কামনা করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: সাইফুল আজম খান জানান, হবিরবাড়ি এলাকাতো অনেকটাই আবাসিক, তারপরও যেটুকু ধানের আবাদ হয়েছে, তার মাঝে বেশ ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া কাচিনা ও মল্লিকবাড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে যে, প্রায় ৬০ হেক্টরের মতো বোরো ফসলের ক্ষতি হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।