পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : একাদশ সংসদ নির্বাচন তিন‘শ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে ৯‘শ প্রার্থী আছে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার হলেই তারা একাদশ নির্বাচন যাবে বলে জানান তিনি। গতকাল মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পস্তবক অর্পনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমরা একটা নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল, আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি। যদি সহায়ক সরকার থাকে, নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত থাকে, আমরা নির্বাচনের জন্য সবসময় প্রস্তুত। নির্বাচনে প্রার্থী তো আমাদের ৯‘শ আছে।
সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিমের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়ার মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করেন মির্জা ফখরুল।
এ সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক স্পেস আরো বেশি করে সংকুচিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ যতই বুঝতে পারছে যে, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে ততই তারা গণতান্ত্রিক স্পেস বা পরিসর সংকুচিত করছে এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করছে। বিএনপি ‘খাওয়া ভবনের স্বপ্ন দেখছে’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এরকম বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, উনি (ওবায়দুল কাদের) নিজেই বলেছেন যে আয়গুলো করেছেন, এগুলো রক্ষা করতে হলে এখন দেশ ছেড়ে পালাতে হবে যদি ক্ষমতায় থাকতে না পারেন। সুতরাং খাওয়া শেষ। সমস্যা হচ্ছে যে, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই। এগুলো রাজনৈতিক ভাষা নয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা এসমস্ত কথার অবতারনা করেন।
আমি বলব, জনগণই এর বিচার করবেন। তারা দেশের জন্য কী কাজ করেছেন, দুর্নীতি কতটুকু করেছেন। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেও বুঝা যাবে যে, জনগণ তাদেরকে কোনা জায়গা রেখেছে। মে দিবসে গত সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শ্রমিক লীগের সমাবেশে দুর্নীতির জন্য বিএনপির সমালোচনা করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও বেতন বাড়ে, কল-কারখানা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়। আর বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শ্রমিকদের রক্ত ঝরে, বেকার বাড়ে, নজিরবিহীন লুটপাট হয়। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি হাওয়া ভবনের মত আরেকটি ‘খাওয়া ভবন’ তৈরির স্বপ্ন দেখছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজ সারা দেশে শ্রমজীবী জনগণ ন্যায্য মজুরীর জন্য, বেঁচে থাকা মজুরীর জন্য লড়াই করছে। তারা নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের জন্য লড়াই করছে এবং তাদের ট্রেড ইউনিয়েনর জন্য লড়াই করছে। আজকে অসংখ্য শ্রমিক মিথ্যা মামলায় হয়রানি হচ্ছে, অনেক নেতা গ্রেফতার হয়ে আছে, অনেক শ্রমিক খুন হয়েছে, গুম হয়েছে। আমরা আজকের দিনে শপথ নিয়েছে আমরা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে এই অবস্থা থেকে দেশ ও দেশের শ্রমজীবী মানুষকে মুক্ত করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।