Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভুয়া দলিল ও আমমোক্তার সৃষ্টি করে প্রতারণার অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : রাঙ্গুনিয়ার শিলক ইউনিয়নের জনৈক শহীদুল্লা দীর্ঘদিন যাবত নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে ভ‚য়া দলিল ও আমমোক্তানামা সৃষ্টি করে একাধিক মানুষকে প্রতারিত করে আসছে। তার প্রতারণার যাতাকলে পৃষ্ঠ হয়ে ভুক্তভোগীরা মানবেতর দিনযাপন করছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তার প্রতারনার শিকার জনৈক ইব্রাহীম গত ২০০৮ সালে বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে ১৭ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আদালতে প্রমানিত হওয়ায় দন্ডিত হন। তারপরও বিভিন্ন লোকজনকে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে প্রতারিত করে আসছে। এ ব্যাপারে একাধিক ভুক্তভোগী রাঙ্গুনিয়া থানা ও আদালতে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে। রাঙ্গুনিয়া দলিল লিখক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি রাউজান উপজেলার বুজ্জ্যেয়ালী এলাকার জনৈক মোহাম্মদ ইলিয়াছকে মোহাম্মদ সবুর সাজিয়ে ভূয়া দলিল সৃষ্টি করে। ভূয়া দলিলের বিষয়ে সাব রেজিষ্ট্রারের দৃষ্টিগোছর হলে তা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দিলেও তিনি তা গ্রাহ্য করেননি। রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া নারিশ্চা মরমের মুখ এলাকায় ভূয়া আমমোক্তার সেজে নজির আহম্মদের সাড়ে ৭৫ শতক জমি শহীদুল্লা গং আতœসাতের পায়তারা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৭ এপ্রিল প্রতিপক্ষরা জমির মালিক গংদের দেশীয় তৈরী দা, কিরিচ, লোহার রড ও লাঠিসোঠা নিয়ে জমি দখল ও অর্তকিত হামলা চালাতে যায়। জমির মালিক নজির আহম্মদের নাতি মোঃ খোরশেদ আলম বাধা প্রদান করলে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল মোঃ খোরশেদ আলম বাদী হয়ে মোঃ শহীদুল্লাহ, কাজী মোরশেদ আহাম্মদ, ফয়েজুল্লাহ, নুরুন্নবী প্রকাশ কালা মুন্সি, কাজী সিরাজুল হকের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিধিঃ ৪৪ ধারা মতে সাধারন ডায়েরী করেন। অভিযোগে জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে মুন্সি হিসেবে (দলিল লিখক) মোঃ শহীদুল্লাহ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উক্ত দায়িত্ব থাকাবস্থায় স্থানীয় মানুষের জায়গা জমির বিভিন্ন খতিয়ান সংগ্রহ করে জায়গা জমি অল্প টাকায় আমমোক্তার নিযুক্ত হয়ে প্রকৃত মালিকের সাথে আতাত করে এবং বিভিন্ন জাল জালিয়াতির কাজে যুক্ত থাকায় ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর সি.আর. মামলা নং ৩৫/০৯ (রাঙ্গুনিয়া), ধারা-৪২০-এ ১ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থ দন্ড অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ডে দন্ডিত হয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. শহীদুল্লা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ