Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রৌমারীতে অভিভাবকহীন ৮৮ লাখ টাকা

| প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় রাজস্ব খাতের উন্নয়ন তহবিলের ৮৮ লাখ টাকা অভিভাবকহীন হয়ে পরেছে। উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতি ইউপি চেয়ারম্যানদের অনাস্থা প্রস্তাবের কারণে উপজেলায় স্বাভাবিক কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় জটিলতা কেটে গেলেও সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়ন কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে।
জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যানের ডাকা বৈঠকে ইউপি চেয়ারম্যানগণ অনুপস্থিত থাকায় গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে বসেনি সমন্বয়সভা। ফলে বাৎসরিক রাজস্ব উদ্বৃত্ত (উন্নয়ন তহবিলের) ৮৮ লাখ টাকা খাটানো যায়নি উন্নয়ন কর্মকান্ডে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মাসিক সমন্বয় সভা হওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সেটি মানছেন না। এছাড়াও মার্চ মাসে ইউপি চেয়ারম্যানগণ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসায় উভয়ের মধ্যে তিক্ততার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। এর ফলে ফলে কৃষি, হাটবাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য ও কুটিরশিল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড মুখ থুবড়ে পড়ে। উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন, এই আসনের সাবেক সাংসদ জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী ও জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিনের মধ্যস্থতায় ইউপি চেয়ারম্যানগণ অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়ায় জটিলতার স্থায়ী অবসান ঘটলেও স্বাভাবিক পরিবেশ এখনো ফিরে আসেনি। ফলে উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার সাধারণ জনগণ।
রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু জানান, মাসিক সভা আহ্বান না করায় আমার ইউনিয়নের অনেক কাজ বন্ধ রয়েছে। সামনে বর্ষাকাল এ সময় রাস্তাঘাটের কাজ না করতে পারলে এ বছর আর সম্ভব হবে না। ফলে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়বে। এটা উপজেলাবাসীর জন্য মারাত্মক ক্ষতি।
বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবীর হোসেন বলেন, সমস্যা হচ্ছে ইউএনও না থাকা। পাশাপাশি মাসিক সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এলাকার উন্নয়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন, যথাসময়ে মাসিক সমন্বয় সভা আহ্বান করা হলেও ইউপি চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত হন না। উল্টো আমার উপর দোষ চাপান। তারা সভায় উপস্থিত না হলে আমি একা কি করতে পারি। আমার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এখন সব কিছু স্বাভাবিক হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা

২৪ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ