Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

দুর্গত মানুষের ত্রাণ নিয়ে সরকার দলীয়করণ করছে -রিজভী

| প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরাঞ্চলের অসহায় মানুষের ত্রাণ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দলীয়করণের অভিযোগ এনেছে বিএনপি। গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, উপদ্রæত হাওর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাদের। তারা বেছে তালিকা করবে, আওয়ামী ঘরানার পছন্দের লোকদের দিয়ে তালিকা করবে। আর লাখ লাখ লোককে ত্রাণ সহায়তা থেকে বঞ্চিত করবে- এই হচ্ছে তাদের মূল উদ্দেশ্য।
স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের দুর্নীতি করার সুযোগ দেয়ার জন্যই ক্ষুধার্ত অসহায় দুর্গত মানুষকে তাচ্ছিল্য করা হলো। আওয়ামী শাসন মানেই জনগণকে কবরে পাঠিয়ে নিজেদের লুটপাটকে নিশ্চিত করাÑ এটাই হচ্ছে তাদের দুঃশাসনের নমুনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকাল (শুক্রবার)  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, বিএনপি দুর্গত এলাকায় ফটোসেশন করতে গেছেন। তার বক্তব্যটি সম্পূর্ণভাবে সত্যের অপলাপ মাত্র। হাওরে উজানের পানির ঢলের প্রথম আঘাতের সময়ই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাওর এলাকায় গেছেন। সেখানে ত্রাণকাজে অংশ নিয়েছেন। গত বুধবার দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান কিশোরগঞ্জের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক ত্রাণকার্য  চালিয়েছেন। দলের গঠিত জাতীয় ত্রাণ কমিটির আহŸায়ক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানকে সুনামগঞ্জ যেতে প্রশাসন বাধা দিয়েছে। মানুষ যেখানে ক্ষুধার্ত, আহজারি করছে, সেখানে সরকার ত্রাণকাজ চালাতেও বাধা দিচ্ছে। এরপরও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ত্রাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে বলে জানান রিজভী।
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী দুঃশাসনে কসমেটিকস উন্নয়নের ফটোসেশন দেখতে দেখতে জনগণ এখন ক্লান্ত হয়ে গেছে। তারা যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই সারাদেশ লুটপাট করে জনগণকে পুঁইশাকের লতার মতো শুকিয়ে মারে। আর নিজেরা নাদুসনুদুস হয়ে জোর করে ক্ষমতায় বহাল থাকে।
আমি বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে বলতে চাই, জনগণের আহার, ক্ষুধা ও অসহায়ত্ব নিয়ে মস্করা করবেন না। দেশের সকল রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন এনজিও, নাগরিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে ত্রাণ তৎপরতায় বাধার সৃষ্টি করবেন না।
সড়কপথে চাঁদপুরের মতলবে নিজের গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আতাউর রহমান ঢালীর ওপর যুবলীগ-ছাত্রলীগের সশস্ত্রদের হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি করেছেন রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, মে দিবস সমাবেশের জন্য আবেদন করেছিল শ্রমিক দল, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এরপর ২/৩ মে সমাবেশের জন্য আবেদন করেছে তারা। সমাবেশের স্থানটি হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এখন এটা নিয়ে পুলিশ গড়িমসি করছেন, এক ধরনের টালবাহানা করছে।
গণতন্ত্রের উৎকৃষ্ট নমুনা হচ্ছে- পুলিশের অনুমতির ওপর বাংলাদেশের গণতন্ত্র নির্ভর করছে। এই গণতন্ত্র বিশ্বে বিরল, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুলিশি গণতন্ত্র। দানবীয় সরকার বলেই মে দিবসে আমাদের কর্মসূচি করতে বাধা দিচ্ছে। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল আলম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আজিজুল বারী হেলাল, নুরী আরা সাফা, কাজী আবুল বাশার, মুনির হোসেন, অনিন্দ ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, মোরতাজুল করীম বাদরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ