দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইবি শিক্ষক অপহরণ, অতঃপর উদ্ধার
ইবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ৫:৩৬ পিএম
ইবি সংবাদদাতা : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান,ইলেক্ট্রনিক এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন খান অপহরণের এক ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে । গত শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়ার নিশান মোড় এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তাকে অপহরণ করে কুমারখালী নিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বুঝতে পেরে তাকে ছেড়ে দেয় বলে জানা গেছে। উদ্ধারের পর অপহরণকৃত শিক্ষক কুষ্টিয়া সদর থানায় অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
জনাব নাসিরের ভাষ্য মতে, শুক্রবার রাত পৌনে আটটায় কুষ্টিয়া শহরের নিশান মোড় থেকে কটাইখানা যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় একটি মোটরসাইকেল তার গতি রোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে আরো তিনজন এসে তাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। কোন কথা বললে সমস্যা হবে বলে নাসির উদ্দিনকে ভয় দেখায় অপহরণকারীরা। এর কিছুক্ষণ পর মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে পায়ে হেটে তারপর সিএনজিতে করে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ডাকবাংলা পুকুর পাড়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সুযোগ বুঝে নাসির উদ্দিন তার স্ত্রীকে ফোন করেন। ফোন রিসিভ করে কিছু বলার আগেই অপহরণকারীরা গালাগাল করতে করতে ফোনটি কেড়ে নেয়। এর কিছুক্ষণ পর ফোন খুলে লাউডস্পিকার দিয়ে নাসির উদ্দিনের সামনে ধরে। নাসির উদ্দিন তখন বলেন, ‘আমার সাথে তিনজন আছে’ এই কথা বলতেই অপহরণকারীরা ফোন কেটে দেয়। সাথে সাথে বিষয়টি আশপাশের পরিচিত শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানায় নাসির উদ্দিনের স্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক অপহরণের বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে তারা তাৎক্ষণিক তাদের তৎপরতা শুরু করে।
এদিকে অপহরণকারীরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বুঝতে পেরে নাসির উদ্দিনকে মারধর করে ‘তোর অনেক বড় লিংক আছে’ বলে ছেড়ে দেয়। নাসির উদ্দিন কুমারখালির ডাকবাংলার পুকুর পাড় থেকে দৌড় দিয়ে রাস্তায় এসে একটি সিএনজি রিজার্ব করে দ্রুত কুষ্টিয়া চলে আসেন। নাসির উদ্দিন কুষ্টিয়া পৌঁছে সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অপহরণকারীদের কাউকে চিনতে পারি নাই। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসার পর তারা আমাকে মারধর করে ছেড়ে দেয়। পরে আমি সিএনজি করে কুষ্টিয়া আসি। পরে থানায় একটি মামলা করেছি।’
কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন চৌধুরী বলেন, অপহরণের পর উদ্ধার হওয়া শিক্ষক নাসির উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চার জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছে (মামলা নং- ৪৬-২৮/০৪/১৭)।’
.jpg)
