Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোরে সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের দাবি ‘কেশবপুরে ওসির নেতৃত্বে যুবলীগ নেতা নির্যাতিত’ : পুলিশের অস্বীকার

| প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর : যশোর প্রেসক্লাবে শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে যুবলীগ নেতা আশরাফুলের পরিবার এই দাবি করেছে ‘কেশবপুর থানার ওসির নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রমূলক বেশ কয়েকটি মামলায় ফাঁসানো হয়েছে যুবলীগ নেতা আশরাফুলকে। এমনকি তাকে আটক করে নির্মম-নির্যাতনের পর কথিত ক্রয়ফায়ারে আহত দেখানো হয়েছে।’ গত ১৯ এপ্রিল যশোরের কেশবপুর উপজেলার দেউলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের শিকার আশরাফুল ইসলাম কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলার দেউলি গ্রামের আব্বাস উদ্দীনের ছেলে। আশরাফুলের মা মনোয়ারা বেগম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। পুলিশ এ অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেছে, আশরাফুল যুবলীগ নেতা নয়, ডাকাত।
সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আশরাফুলের মা মজিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোয়ারা বেগম বলেন, ১৯ এপ্রিল রাতে তার ছেলে আশরাফুল ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। মাঝরাতে ওসি সাহেবের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে ঘুম থেকে তুলে মারপিট করতে করতে নিয়ে যায়। ছেলেকে ছেড়ে দেয়ার জন্য ওসি সাহেবের পায়ে পড়ি। ওসি আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। পরে জানতে পারি পুলিশ আশরাফুলকে নির্মম-নির্যাতনের পর কথিত ক্রসফায়ারে আহত ও আটক দেখিয়েছে। আমি ছেলের নির্যাতনকারীদের শাস্তি চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুলের পিতা আব্বাস উদ্দীন অভিযোগ করেন, প্রায় এক মাস আগে দেউলি গ্রামের চৌরাস্তা মোড়ে কেশবপুরের বুলু বিশ্বাস ও সেনপুর গ্রামের হাসান আলী পৃথক দুটি ইট ভাটা স্থাপনের তোড়জোড় শুরু করে। ফসলি জমি নষ্ট ও পরিবেশ দূষণ করে ইট ভাটা স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে এলাকাবাসী। আশরাফুল এলাকাবাসীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে গত ১১ এপ্রিল প্রতিবাদ সমাবেশ যোগদান করেন। সেখানে এলাকার শতশত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। আব্বাস উদ্দীন আরও অভিযোগ করেন, এই আন্দোলনে ক্ষিপ্ত হয় ভাটা মালিক বুলু বিশ্বাস ও হাসান আলী এবং কেশবপুরের বিএনপি নেতা আবু বকর ও আবু সামাদ বিশ্বাস। তারা ভাটার বিরুদ্ধে আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশকে কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম দাবি করেন, ডাকাতের পরিবার অনেক কথাই বলতে পারে। কিন্তু এসব সঠিক নয়। ডাকাত দলের বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত ও আশরাফুল আহত হয়েছে। তাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যশোর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ