Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সহায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না : মির্জা ফখরুল

| প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার ছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মহানগরের নবনির্বাচিত দুই কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য খুব স্পষ্ট করে বলেছি, নির্বাচনকালীন সময়ে একটি সহায়ক সরকারের প্রয়োজন হবে, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং একটি লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। অন্যথায় এখানে কখনো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না, বাংলাদেশের জনগণ তা গ্রহণ করে নেবে না।
বর্তমান সরকারকে অগণতান্ত্রিক ও একনায়কতান্ত্রিক অভিহিত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন,  উনারা (আওয়ামী লীগ) খুব ভালো করেই জানেন, বিএনপি কী করতে পারে, কী না পারে। অতীতে তা প্রমাণ হয়েছে। আমরা বলছি যে, একটা সরকারি নিয়ন্ত্রণ ছাড়া, পুলিশের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া তারা নির্বাচন করে দেখুক, কারা এদেশে নির্বাচনে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল।
সকাল সাড়ে ১০টায় শেরে বাংলানগরে মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার ও উত্তরের সহ-সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু ও  সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানকে নিয়ে নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শহীদ জিয়ার মাজারে ফুলের তোড়া অর্পণ করেন। উত্তরের নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম আত্মগোপনে থাকায় অনুষ্ঠানে ছিলেন না।
এই সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির  খোকন, মীর সরফত আলী সপু, সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, আব্দুুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলসহ মহানগরের নবনির্বাচিত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  
নতুন কমিটির সাথে আসা কয়েক হাজার নেতা-কর্মী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন। নেতা-কর্মীরা দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বড় বড় প্রতিকৃতির পাশাপাশি মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল ও উত্তরের সভাপতি এমএ কাইয়ুমের রঙ্গিন পোস্টার নিয়ে মিছিল নিয়ে মাজার প্রাঙ্গণে আসেন। হাজার হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতি সমাবেশে রূপ নেয়।
গত ১৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগরকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ঢাকা দক্ষিণের ৭০ সদস্যের এবং উত্তরের ৬৪ সদস্যের এই আংশিক কমিটি অনুমোদন করে বিএনপি
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণে সাদেক হোসেন খোকা ও আব্দুস সালামের নেতৃত্বাধীন মহানগর কমিটি ভেঙ্গে দেয় বিএনপি। এরপর ওই বছর ১৮ জুলাই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আহŸায়ক ও হাবিব উন নবী খান সোহেলকে সদস্য সচিব করে ৫২ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন হাওর অঞ্চলে যাননি কেনো প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি  চেয়ারপার্সন সবখানে গেছেন, যখন দরকার হবে আবারো যাবেন। বিএনপি সবসময় জনগণের পাশেই আছে।  এবার ১ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার কথা আছে সুনামগঞ্জে, তার আগে আমাদের কোনো টিমকে সেখানে যেতে দিচ্ছে না। আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেয় না যারা, তারা এই সমস্ত কথা বলেছে জনগণকে প্রতারণা ও জনগণের মতকে ভিন্ন দিকে নেয়ার চেষ্টা করার জন্যে।
মহানগর কমিটি নিয়ে বিভক্তি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিটি নিয়ে বিতর্ক কিছু নেই। আমাদের সিনিয়র লিডারদের নেতৃত্বে মহানগরের নতুন কমিটি গঠন হয়েছে, তারা সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। আমরা আশাবাদী নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে গঠিত এই দুইটি কমিটি আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনকে আরো বেগবান করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ