Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অতিবর্ষণে কৃষকের মাথায় হাত

| প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

উজিরপুর (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা : বরিশালের উজিরপুরে পাঁচ দিনের ঝড়, অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে মুগ, মরিচ, তিল, শাক-সবজি ও ধান। উজিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল নিচু থাকার কারণে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বছরে ২/৩ বার কৃষকের ভাগ্য প্রতিকুলে পরিবর্তন হয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২০ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে শেষ হয়েছে কৃষকের আশা-ভরসা। উজিরপুর কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী এ বছর ১৩৫১০ হেক্টরে বোরো ধান, ৭০৫ হেক্টরে মুগ ডাল, ১৩০ হেক্টরে মরিচ, ৪০ হেক্টরে তিল ও ৩৭০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে এর মধ্যে গত পাঁচ দিনের অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ৪৫৮ হেক্টরের মুগ, ৭৮ হেক্টরের মরিচ, ২৪ হেক্টরের তিল, ১৬৫ হেক্টরের শাকসবজির ক্ষেত তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ধানের ক্ষেতের তেমন কোন ক্ষতি না হলেও ধানের ক্ষেত পানিতে ডুবে যায়। গত পাঁচ দিনের ঝড়, বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে শতাধিক কৃষক তাদের ফসল হারিয়ে ধারদেনা আর ঋণের বোঝা আরো ভাড়ি হয়ে যায়। প্রকৃতির এই দুর্যোগের পরক্ষণেই কৃষকের খোঁজখবর নিতে মাঠে ছুটে যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা। এ সময় কৃষকদের উদ্দেশ্যে সান্ত¡না ও সাহস জোগানোর আশ^াস দেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাকির হোসেন তালুকদার, উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির ও উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে কৃষকদের দ্বাওে দ্বারে যান এবং ক্ষতি গ্রহস্ত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করেন এবং তাদের ক্ষতির বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার আশ^াস দেন। কৃষক মোঃ আলম ফকির, মোঃ আদম আলী, মোঃ নেয়ামুল করিম, কাইয়ুম আকন ও লতিফ সিকদার মোঃ নয়ন বলেন, আমরা ধারদেনা ও সুদে টাকা এনে কৃষি কাজ করি ফসল উঠলে বিক্রয় করে দেনা পরিশোধ করি। কিন্তু প্রতি বছর ২/৩ বার আমরা প্রকৃতির দুযোগে পরে ফসল হারিয়ে সুদের বোঝার ভারে অনেকেই কৃষি কাজ ছেড়ে কাজের সন্ধানে শহরে যাচ্ছে বা অন্য কাজ করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ