Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বাউফলে মাধ্যমিকে পরীক্ষার নামে চলছে বাণিজ্য

| প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাউফল (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ত্রৈ-মাসিক, অগ্রগতিক মূল্যায়ন, মডেল টেস্ট পরীক্ষার নামে চলছে বাণিজ্য। প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীদের চোখ এড়াতে কয়েকটি বিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে কোন শিক্ষার্থী যদি পরীক্ষা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তাহলে তাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় বছরে দুইটি পরীক্ষা নেয়ার জন্য সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সেই প্রায় নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপজেলার ৬১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অভিবাকদের অভিযোগ বাণিজ্য করার জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরীক্ষা নিচ্ছে। পরীক্ষা নেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন অনেক অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পরীক্ষা না নেয়ার জন্য পরামর্শ দিলেও সে পরামর্শ মানছেন না শিক্ষকরা। গতকাল শুক্রবার সরেজমিন বেলা সারে ১১টার সময় কালাইয়া হায়াতুন্নেচ্ছা বালিকা বিদ্যালয়ে দেখা গেছে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষা শেষে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, নতুন বছরের এ পর্যন্ত চার বার সিলেবাস পরিবর্তন করেছেন স্যারেরা। সর্বশেষ মাত্র পনেরো দিন আগে দিয়েছেন জননী নামের একটি সিলেবাস। তাহলে এত কম সময়ে কীভাবে পরীক্ষা দিব। এ ধরনের পরীক্ষা নামের মানসিক অত্যাচার কেন যে স্যারেরা করেন? যা বুঝি না। তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে কালাইয়া হায়াতুন্নেচ্ছা বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মূ. হারুন অর রশিদ বলেন, বাণিজ্যের জন্য নয়। শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্যই পরীক্ষা নিচ্ছি। তাহলে কি সরকারের নির্দেশনা আপনি জেনেই উপেক্ষা করছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওই প্রধান শিক্ষক চুপ থাকেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ্ আল মাহমুদ জানান, সরকারি নির্দেশা উপক্ষো করে পরীক্ষা না নেয়ার জন্য প্রত্যেক স্কুলকে বলা হয়েছে। এরপরেও যদি কোন স্কুলে পরীক্ষা নেয় তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ