Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় ঈদগাহর সামনে ভাস্কর্য স্থাপন সুচিন্তিত হয়নি : হাছান মাহমুদ

| প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারকে সম্পূর্ণ অগোচরে রেখে জাতীয় ঈদগাহর সামনে গ্রীক দেবীর ভাস্কর্য স্থাপন করা সুচিন্তিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৫৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর তিন নেতার মাজার প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ও যুক্তফ্রন্ট যৌথভাবে এ আলোচনার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের মূলনীতি হলো অসা¤প্রদায়িকতা। কিন্তু দেশের কোটি কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে যেমন মসজিদের সামনে ভাস্কর্য স্থাপন করা যায় না, তেমনি ঈদগাহর সামনেও ভাস্কর্য স্থাপন করা যায় না। সরকারকে সম্পূর্ণ অগোচরে রেখে এই কাজ যারা করেছেন তারা ঠিক করেননি।
মাদ্রাসার উচ্চ শিক্ষার স্বীকৃতি প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কওমি মাদ্রাসার লাখ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকায়নের মাধ্যমে যাতে সেখানকার শিক্ষার্থীরা শিক্ষার মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ আট বছরের প্রক্রিয়া শেষে এই স্বীকৃতির ব্যবস্থা করেছেন।
আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র বলেন, রাজনীতি হতে হবে রাজনৈতিক কর্মীদের একটি ব্রত। একে ক্ষমতা বা প্রতিষ্ঠা লাভের হাতিয়ার হিসেবে নিলে চলবে না। শেরে বাংলা এবং বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে সেই শিক্ষাই দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এমএ জলিল। এমএ করিমসহ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ও যুক্তফ্রন্টের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।



 

Show all comments
  • Nur- Muhammad ২৮ এপ্রিল, ২০১৭, ৭:৫৯ এএম says : 0
    জনাব হাছান মাহামুদ এত দেরীতে জন গণের মনের কথা বুঝতে পারায় আপনাকে ধন্যবাদ। কত বক্তব্য বৃবরেতি দিয়েছেন, তা জনগণ গ্রহন করলো কিনা, হয়ত দেখার সময় পান নাই। আজকের আপনার এই বক্তব্য জনগণ গ্রহন করছে। আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছে। লক্ষ কোটি মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। বালির ট্রাক দিয়ে বেড়া দেওয়া হচ্ছে, তখন আপনাদের বক্তব্য ছিল বাড়ী পলেষ্টাট করার জন্য খালেদা জিয়া বালির ট্রাক আনছে। এমন আজগুবি কথা কি জনগণকে বিশ্বাস করতে বলেন? পূর্বে অহরহ এমন কথাই ছিল। তাই কোন কথায়ই জনগণ ধন্যবাদ দিতে পারে নাই। আজকে আপনাদের বিবেক জাগরত হওয়ায় জনগণ খুঁশি হলো। মনের অন্তঃ করন থেকে ধন্যবাদ দিল। আপনাদের এক খুঁচায় সংবিধান পরিবর্তন হয়ে যায়, আজ জনগণের পক্ষে বলছেন, তবু ও মূর্তি সরছেনা। এখানে কোন শক্তি বা চক্রান্ত কাজ করছে, তা জনগণের নিকট দয়া করে ব্যাখা করবেন। এই ক্ষেত্রে বিএনপির দিকে ইশারা না দিলে জনগণ খুঁশি হবে। জনগণ গ্রহন করবে। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৮ এপ্রিল, ২০১৭, ৭:৫৭ পিএম says : 0
    ২০০৫ সালে এই সুদুর কানাডা থেকে দূরালাপনির মাধ্যে সরাসরি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সাথে অনেক কথা হবার পর আমি জনাই যে, আমি আমার শারীরি অসুস্থতার কারনে আর দলীয় দায়িত্ব পালন করতে পারছিনা, নেত্রী এর কোনই জবাব দেননি। দলীয় আইন হিসাবে আমার উচিৎ ছিল কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিকট এস্তেফা দেয়া। এর কারন আমি তখন আওয়ামী লীগ কানাডা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ১৯৯৬ সাল থেকে। ইস্তেফা সভাপতির নিকট না দেয়া মানে ঐ নেত্রী হাসিনার মতই ইগো......... এরপর আমার মনে হয় যেহেতু আমি কাগজে কলমে ইস্তেফা দেইনি তাছাড়া এই পরিস্থিতিতে সভাপতিও সাহস দেখিয়ে কোন নির্বাহী সভাও করেন নি ফলে পদ বিহীন ভাবে দল দুই বছর শুধুমাত্র সভাপতিই সব একক ভাবে চালায় এবং নেত্রী ২০০৭ সালে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে কানাডায় এসে এমন একজনকে সাধারন সম্পাদক বানিয়ে দেন যাকে তিনি এর আগে চিনতেনও না আমি নিজেও তাকে তেমন একটা দলীয় কাজে পাইনি। যাইহোক আমার এসব বলার মানে হচ্ছে যে ইসু নিয়ে আমি এএল এর নেতাদের কাছে খুব একটা গ্রহণযোগ্য ছিলাম না সেটা হচ্ছে এই সংখ্যা গরিষ্ট মুসলমান ইসু। অসাম্প্রদায়িক নীতিতে বিশ্বাস করেই আজ আমি আল্লাহ্‌র দরবারে সম্মানিত হয়ে গাজী উপাধি পেয়েছি কাজেই সেই অসাম্প্রদায়িক নীতি আমি ছাড়তে পারিনা। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক মানে যদি হয় হিন্দুদেরকে তোয়াজ করা সেটা আমি মানিনা। অসাম্প্রদায়িক মানে যদি হয় মুসলমানদের বিপক্ষে কথা বলা সেটাও আমি মানি না। মুসলমানরাই কি একক ভাবে এদেশের নাগরিক??? হিন্দুরা কি এদেশের নাগরিক নয়??? তবে কেন এদের বসত ভিটা এএল এর নেতারা কিনছে আর এদেরকে ভারত পাঠাচ্ছে??? এটাকি অসাম্প্রদায়িকতা??? যে দেশের ৯৫% মুসলমান এবং শাসকদের ৯৫% মুসলমান সেই দেশে ইসলামি আইনে চলাটাই স্বাভাবিক কিন্তু ঐ অসাম্প্রদায়িক নীতির কারনে আমাদের দেশটাকেও সুন্দর ভাবে চালাতে দিচ্ছেনা কিছু সংখ্যক এগুয়ে মুসলমান নামধারি বুদ্ধিজীবি গন। এদের কথায় আমার কাছে মনে হয় হিন্দুর পক্ষে গেলেই সেটা অসাম্প্রদায়িক আবার মুসলমানদের বিপক্ষে গেলেই সেটা অসাম্প্রদায়িক। এটাই আমি আজ ৪৫ বছর ধরে দেখে আসছি............ আমি এদের অসাম্প্রদায়িক নীতিতে বিশ্বাসী নই আমি বিশ্বাস করি যেখানে সকল ধর্মের লোক একত্রে বসবাস করবে সেটাই অসাম্প্রদায়িক। ভারতকে আমরা গালাগালি করি আর বলি হিন্দুদের দেশ বা হিন্দুস্তান কিন্তু দেখুন সেই ভারতই অসাম্প্রদায়িক দেশ। তাদের ওখানে মুসলমানরা বসবাস করছে ভারতবাসী হয়ে। আর আমাদের দেশের হিন্দুরা ছেলে মেয়ে বড় হবার সাথে সাথেই পাঠিয়ে দিচ্ছে পড়া শুনা করানোর জন্য ভারতে। সেখানেই তার বড় হচ্ছে এবং একসময়ে সেখানেই থেক যাচ্ছে। আর পিতা মাতা সুযোগ বুঝে এএল নেতার কাছে ভিটা বাড়ি বিক্রয় করে চলে যাচ্ছে তাহলে আমরা মুখে বলি অসাম্প্রদায়িক কিন্তু কাজে আমরা কি দেখাচ্ছি??? তাহলে আসলেই কি অসাম্প্রদায়িক অর্থটা এই???????? না সেটা নয় যেখানে কোন ধর্মকেই আঘাত করা হয়না যেমন কানাডা এখানে যে যার ধর্ম পালন করছে কোন আসুবিধা নেই। কিন্তু আইন সবার জন্যই সমান এরাই হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক দেশ আমরা নই। আজই প্রথম হাসান মাহমুদ সাহেব আমার সুরে কথা বলেছেন দেখে খুবই খুশি হয়েছি এবং মনে হচ্ছে কাছে পেলে ওনাকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানাতাম। কিন্তু এই মূহুর্তে আমরা দু’জনি এতই দূরে যে সেটা ভাবাও যায়না তাই শুধু লাল সবুজের সালাম তাকে। মনের আনেক কথা আমার লিখা ফেলেছি যারা আমার লিখা পড়েন তাদের সাথে আমি আমার খুশি ভাগা ভাগি করে নেয়ার জন্যই। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ্‌ ভরসা।
    Total Reply(1) Reply
    • Abdur Rahman Mallick ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৫:৩০ পিএম says : 4
      সাহসী উচ্চারণের জন্য ধন্যবাদ

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ