Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোড ট্যাক্সের সাথে পরিবেশ দূষণকারী গাড়ীর জন্য এবার গুণতে হবে ইকো ট্যাক্স

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রতিষ্ঠানকে ইকো ট্যাক্সের আওতায় আনার সুপারিশ

| প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : পরিবেশ দূষণকারী গাড়ির মালিকের নিকট থেকে রোড ট্যাক্সের সঙ্গে এক শতাংশ হারে ‘ইকো ট্যাক্স’ আরোপ করে তা আদায়ের ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। নিষিদ্ধ পলিথিনসহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সব প্রতিষ্ঠানকে ইকো ট্যাক্স এর আওতাভুক্ত করারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। 

গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের এই সিদ্ধান্তের তথ্য জানান কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ। এরআগে সংসদ ভবনে তার সভাপতিত্বে কমিটির ৩৩তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন, উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ, ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী, টিপু সুলতান এবং মেরিনা রহমান।
হাছান মাহমুদ বলেন, কমিটি দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর ১ শতাংশ ইকো ট্যাক্স আরোপের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হবে। দূষণের দায়ে কোন কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ট্যাক্স আরোপ হবে তা অর্থমন্ত্রণায় ঠিক করে দেবে। কমিটি এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পলিথিনের মোড়ক ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান ও দূষণ সৃষ্টিকারী গাড়ির কথা উদাহরণ হিসেবে বলেছে। কমিটির সভাপতি বলেন, নির্দিষ্ট মাইক্রোনের পলিথিনের শপিং ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ। সব পলিথিন নিষিদ্ধ নয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপন্ন পণ্যে পলিথিনের মোড়ক ব্যবহার করছে। এসব পলিথিন পরিবেশকে দূষিত করছে। পলিথিন রিসাইকেল না হলে তা পচতে ১০০-৩০০ বছর সময় লাগে। ইকো ট্যাক্স আরোপ করলে ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলোর পলিথিনের মোড়ক ব্যবহারের প্রবণতা কমবে বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ।
ইকোট্যাক্স আরোপ হলে তা ভোক্তার ওপর প্রভাব পড়বে কীনা, জানতে চাইলে সাবেক এই পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, এগুলো কোনভাবেই জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া সমীচীন হবে না। অভিযুক্ত ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের লভ্যাংশের থেকে এই ট্যাক্স দেবে। দূষণকারী গাড়ির ওপর রোড ট্যাক্স আদায়কালে এই ইকো ট্যাক্স আদায় করা যেতে পারে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পলিথিক শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ হলেও এটা যথেচ্ছা ব্যবহƒত হচ্ছে। আমরা মন্ত্রণালয়কে তাগাদা দিয়েছি এগুলো সঠিকভাবে মনিটর করতে। এদিকে সংসদীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল আগামী মাসে বন্যাকবলিত হাওর এলাকা ও সিলেট অঞ্চলের অবৈধ পাথর খোয়ারি এলাকা পরিদর্শনে যাবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে আগামী অর্থবছরে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ