Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘হাওর সঙ্কট ও আমাদের করণীয়’ বিষয়ে ব্র্যাকের সংবাদ সম্মেলন

| প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এক বছরের জন্য জলাভ‚মির ইজারা স্থগিতের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার : হাওর এলাকার মানুষের বর্তমান সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে এক বছরের জন্য স্থানীয় বিত্তবানদের দেয়া জলাভ‚মির ইজারা স্থগিত করতে উপদ্রæত অঞ্চলের মানুষের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ব্র্যাক। সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। এতে স্থানীয় মানুষদের উন্মুক্ত জলাভ‚মিতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহে সুযোগ তৈরি হবে।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘হাওর সঙ্কট ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। হাওরের সঙ্কট মোকাবেলায় ভবিষ্যৎ করণীয় ও পরিকল্পনা তুলে ধরতে উপদ্রæত অঞ্চলের মানুষ ও জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধে ব্র্যাক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ জয়া সেনগুপ্তা, ব্র্যাকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক গওহার নঈম ওয়ারা, অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ কর্মসূচির পরিচালক কে এ এম মোর্শেদ। এ ছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অব ডেভলপমেন্ট অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক নাজমুল হক, উপমা-উন্নয়ন পরিকল্পনায় মানুষের নির্বাহী পরিচালক এম এইচ তালহা চৌধুরী, চেতনা পরিবেশ মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মুসা, অষ্টগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ, শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরী প্রমুখ।

জয়া সেনগুপ্ত এমপি বলেন, ‘ইতোমধ্যে হাওর এলাকায় সরকারি ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে এই সঙ্কট সামাল দেয়া দুরূহ। আমরা চাই ব্র্যাকের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও দুর্গত মানুষের সেবায় এগিয়ে আসুক।’ হাওরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে এখনই পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্কতামূলক পদক্ষেপ না নিলে এ সঙ্কট আবারো ঘটতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
গওহার নঈম ওয়ারা বলেন, আপদকালীন হিসেবে হাওর এলাকার পাঁচ জেলায় ব্র্যাক ইতোমধ্যে প্রায় সাত হাজার পরিবারের মধ্যে গো-খাদ্য বিতরণ ও ৫০ হাজার পরিবারের মধ্যে ১৫ কোটি টাকার জরুরি ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। কিন্তু এ সমস্যা সমাধানে শুধু ত্রাণ সহায়তাই যথেষ্ট নয়, বরং প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী ও বাস্তবমুখী পরিকল্পনা। আর এই ত্রাণ বিতরণে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও তদারকি থাকা প্রয়োজন। স্থানীয় প্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোথায় কখন ত্রাণ দেয়া হবে তা আগে না জানানোর কারণে অনেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জাতীয় বাজেটে হাওরবাসীর নিরাপত্তা ও উন্নয়নে আরো বরাদ্দ দিতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ