বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আনোয়ার হোসেন আলীরাজ, সিংড়া (নাটোর) থেকে : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েক দিনের টানা বর্ষণে আত্রাই-গুড় ও বারনই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চলনবিল অঞ্চলের প্রায় সাড়ে তিনশ’ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে। ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে আরো প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি।
অতি বর্ষণ এবং নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সিংড়া উপজেলার আনন্দনগর, বেড়াবাড়ি, কালিনগর, সারদানগর, হুলহুলিয়া, চৌগ্রাম, পাটকোল, দমদমাসহ বিভিন্ন বিলে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। ধান, ভুট্টাসহ নানা ফসল পানির নিচে। অন্যদিকে অবিরাম বৃষ্টির কারণে শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন।
সরকারী হিসেবে, নিচু এলাকার ৬০ হেক্টর জমির পানির নিচে। পানিবন্দি আরো ৩০০ হেক্টর জমি। ডুবে যাওয়ার আশংকায় রয়েছে আরো প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি। কৃষি জমি রক্ষায় পাটকোল, নিংগইন ও তেলিগ্রাম বিলে ইতোমধ্যে বাঁধ দেয়া হয়েছে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ধান কেটে বাড়িতে তুলতে পারছেন না কৃষকরা। এদিকে শ্রমিক সংকট থাকায় পাকা ধান বাড়িতে তুলতে পারছেন না। পানি বেড়ে যাওয়ায় পুরো এলাকার ধান তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিতায় দিন কাটছে চলনবিলের কৃষকদের। উপজেলার কালিনগর গ্রামের সাংবাদিক আব্দুল লতিফ মাহমুদ জানান, তার ১৯ বিঘা জমির ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
এলাকাবাসী জানান, টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে সিংড়া উপজেলার আত্রাই-গুড় ও বারনই নদীর পানি বেড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পানি বাড়ছেই। এতে জোড় মল্লিকা, নিংগইন এবং পাটকোল ব্রিজের নিচ দিয়ে চলনবিলের ফসলি জমিতে প্রতিনিয়ত পানি ঢুকছে। এদিকে সোমবার থেকে জোড়মলিকা, নিংগইন এবং পাটকোল এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুর করেছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, আত্রাই নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় চলনবিলে পানি প্রবেশ করছে। এতে প্রায় ৬০ হেক্টর জমি নিমজ্জিত হয়েছে। পানিবন্দি আরো ৩০০ হেক্টর জমি। ডুবে যাওয়ার আশংকায় রয়েছে আরো প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি। তবে বাঁধ দেয়ায় এখন আর ঢুকতে পারছে না। তবে ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকলে চলনবিলে পানি ঢুকে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, টানা বর্ষণের নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় চলনবিল এলাকায় পানি ঢুকছিল।
৩টি স্থানে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁধ নির্মাণের ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে এলাকার কৃষকরা বাঁধ নির্মাণ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।