Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রেলে নিয়োগ বাণিজ্যে সাবেক জিএম মৃধার ২ মামলার রায় আজ

| প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম


চট্টগ্রাম ব্যুরো : সহকারী কেমিস্ট ও ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে পূর্ব রেলের সাবেক জিএম ইউসুফ আলী মৃধাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে দুদকের করা দুটি মামলায় রায় আজ (বৃহস্পতিবার)। চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমিন এ মামলা দু’টির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছেন।
বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সহকারী কেমিস্ট ও ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে করা মামলা দু’টির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। দু’টি মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বলে জানান তিনি। এই দুই মামলার প্রত্যেকটিতে মোট ১৮ জন করে সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় আসামি তিন সাবেক রেল কর্মকর্তাসহ মোট পাঁচ জন।
আসামিরা হলেন- পূর্ব রেলের তৎকালীন সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার গোলাম কিবরিয়া, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পূর্ব রেলের সাবেক জিএম ইউসুফ আলী মৃধা, সহকারী কেমিস্ট পদপ্রার্থী সুলতানা বেগম ও গণেশ চন্দ্র শীল। ফুয়েল চেকার পদের মামলায়ও আসামি সহকারী কেমিস্ট পদের মামলার আসামি তিন সাবেক রেল কর্মকর্তা। এছাড়া ফুয়েল চেকার পদের মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- নিয়োগ পদপ্রার্থী আবুল কাশেম ও আনিসুর রহমান।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তরে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারকে বহনকারী গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার ঘটনার পর ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে ওই গাড়িতে থাকা ইউসুফ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চাকরিচ্যুত হন রেলমন্ত্রীর সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারও। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা ছিল, যা আদায় করা হয়েছে রেলে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে।
এরপর ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রেলওয়েতে বিভিন্ন পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা করে দুদক। এর মধ্যে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ফুয়েল চেকার পদের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সে সময়ের সহকারী পরিচালক এসএম রাশেদুর রেজা।
এরপর ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। এর আগে ২০১৩ সালের ১৮ অগাস্ট সহকারী কেমিস্ট পদের মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি এ মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ইউসুফ আলী মৃধাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সর্বশেষ গত বছরের ৩ আগস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি মামলায় ঢাকার আদালতে তিন বছরের সাজা হয় মৃধার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ