Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আতঙ্কে বহুতল ভবনের বাসিন্দারা ঘাম নিয়ে ঘর্মাক্ত হয়ে পড়েছে মানুষ

| প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : ঘাম নিয়ে ঘর্মাক্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। দু’দিন ধরে ঘরের মেঝে, দেয়াল, ছাদ, টেবিল, চেয়ারসহ আসবাবপত্র ও তৈজষপত্রে অস্বাভাবিক রকম ঘাম দেখা দেয়ায় মহা আতঙ্কে নিমজ্জিত হয়েছে নরসিংদীসহ দেশের বহুতল ভবন তথা সুরম্য অট্টালিকার বাসিন্দারা। ঘামের কারণ নিয়ে গবেষণা করতে করতে নিজেদের শরীর থেকে ঘাম বেয়ে পড়ছে। ঘামের ভয়ে গত মঙ্গলবার রাতে বহুতল ভবনের বাসিন্দাদের অনেকে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। অনেকে নিজস্ব ফ্লাট ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে টিনের ঘরে গিয়ে ঘুমিয়েছেন। অস্বাভাবিক ঘামের কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও উচ্চ শ্রেণির এসব মানুষদের আতঙ্ক দূরীভূত করতে পারছে না। কেউ বলছে এই ঘাম একটি প্রাকৃতি দুর্যোগের পূর্ব লক্ষণ। কেউ বলছে বড় ধরনের ভূমিকম্প হবার লক্ষণ এই ঘাম। আবার কেউ কেউ বলছে এই ঘাম বড় ধরনের প্রলয়ঙ্করী ঝড়ের পূর্বভাষও হতে পারে।
প্রীতিরঞ্জন সাহা নামে এক ভবন মালিক জানিয়েছেন, তার বিল্ডিং’র দেয়াল চুইয়ে পানি পড়েছে। মেঝে ঘেমে পিচ্ছিল হয়ে গেছে। নরসিংদী শহরের একটি বহুতল ভবনের ফ্লাটের মালিক জানিয়েছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে ঘরের মেঝেতে পানি। সিড়িতে গিয়ে দেখে পানি বেয়ে পড়ছে। আশেপাশে ও উপরে তাকিয়ে দেখে দেয়াল ও ছাদ চুইয়ে পানি পড়ছে। অপর এক বাসিন্দা জানান, তার ছেলে পড়ার টেবিলে গিয়ে দেখে টেবিল চেয়ার দুটোই ভিজা। বাড়ির গৃহিণীরা ভাত রান্নার হাড়ি ধরে দেখে ঘেমে রয়েছে। বহুতল ভবনের ১০ তলা থেকে একদম গ্রাউন্ড ফ্লোর পর্যন্ত এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সর্বত্রই শুধু ঘাম আর ঘাম। প্রবীণ লোকেরা জানিয়েছে তাদের জীবনে এভাবে ঘরের মেঝে, ছাদ, দেয়াল, আসবাবপত্র, তৈজসপত্র এভাবে ঘামতে দেখেনি। এটা তাদের জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা। তাদের ধারণা এই অস্বাভাবিক ঘামের পিছনে একটি অশনি সঙ্কেত লুকিয়ে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে এ প্রতিবেদক নরসিংদীর একজন পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এতে ভয়ের কিছুই নেই। এটা প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কয়েক দিনের অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বাতাসে জলীয় কণার পরিমাণ বেড়ে যায়। গত মঙ্গলবার হঠাৎ বাইরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ও ঘরের ভিতরে তাপ কম থাকায় জলীয় কণাগুলো পানিতে রুপান্তরিত হয়ে যায়। এ কারণেই ঘরের মেঝে, দেয়াল, ছাদ, আসবাবপত্র ও তৈজসপত্র সব স্থানে ঘাম ঘাম ভাব দেখা দেয়। অনেক জায়গায় পানি গড়িয়ে পড়ে। প্রকৃত পক্ষে মেঝে, দেয়াল, ছাদ, আসবাবপত্র, তৈজসপত্র কোনো কিছুই ঘামেনি। জলীয় কণা রুপান্তরিত পানি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ