বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : ছাতকে ভূমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাদরাসা ছাত্র আবু সুফিয়ান (১২) এর উপর বর্বর নির্যাতনের প্রায় একমাস হলেও এখনও সে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গত ১ এপ্রিল উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউপির সাউদপুর গ্রামে সমশর আলীর পুত্র ধারণ মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র আবু সুফিয়ানও তার ছোট ভাই কটালপুর বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্র তোফায়েল আহমদসহ একই পরিবারের ৪ সদস্যকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় তাদের ঘর-বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এরপর থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩য় তলার ১১নং ওয়ার্ডের নিউরো সার্জারি বিভাগের ডাক্তার অপুর তত্ত¡াবধানে চিকিৎসাধীন আবু সূফিয়ান এখনও শঙ্কামুক্ত হয়নি। মাথার ডান দিকে শক্ত আঘাতের অস্ত্রোপচারের পর আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন অংশে রয়েছে শিশু নির্যাতনসহ চরম অমানবিকতাও নিষ্ঠুরতার ক্ষতচিহ্ন। যা আজো তাকে জ্বালায়, পোড়ায় ও কাঁদায়। তার অভিবাবক সিরাজুল ইসলাম বলছেন, সে পুরোপুরিভাবে সুস্থ হতে আরো ৫ মাস সময় লাগতে পারে। মেধাবি ছাত্র সূফিয়ানের এখন লেখা-পড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সাউদপুর গ্রামে তাদের প্রতিবেশি শমসর আলীর পুত্র সুন্দর আলীর নেতৃত্বে দু’শিশু সন্তানের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। তার ছোট ভাই তোফায়েল এখনো বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। পরে সুন্দর আলীকে প্রধান আসামি করে সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ছাতক থানায় মামলা করা হয়। এখনো প্রধান আসামিসহ দু’জন ছাড়া জমির আলী, শেহনাজ আলী, সমাছুদ্দিন, আইনুদ্দিন, আনকার আলী ও করিম বক্স নামের আসামিরা পলাতক রয়েছে। তবে তদন্ত অফিসার এসআই কামাল আসামি গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।