Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে দুর্গতদের পুনর্বাসন ও দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি অব্যাহত

| প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম


সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জে ফসলহানি হওয়ায় ফসলহারা মানুষদের পুনর্বাসন এবং হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ফসলহানির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ সুনামগঞ্জ জেলাকে  দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি অব্যাহত রয়েছে। ইতোঃপূর্বে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সুনামগঞ্জ জেলাকে দুর্গত এলাকার ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
হাওর বাঁচাও, সুনামগঞ্জ বাঁচাও অন্দোলনের নেতারা ফসল ডুবার শুরু থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দাবিসহ হাওর রক্ষাবাঁধ ভেঙ্গে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দায়ীদের বিচার দাবি করে আসছেন। পাউবোর কর্মকর্তা, ঠিকাদার ও পিআইসির সদস্যদের অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে হাওররক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ফসলহানি হওয়ায় সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় হাটে বাজারে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সভাসমাবেশ হয়েছে। ভাটি বাংলা আইনজীবী পরিষদের নেতার সুনামগঞ্জ জেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণাসহ দুর্গত মানুষদের পুনর্বাসন এবং বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও গাফিলতির জন্য দায়ীদের বিচার দাবি জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার ভাটি বাংলা আইনজীবী পরিষদের নেতারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে ৩ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। দাবির মধ্যে রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার ফসল রক্ষার জন্য স্থায়ী একটি পরিকল্পনা গ্রহণ, নদী খনন করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ জেলায় ব্যাপক ফসলহানির কারণে দুর্যোগ দেখা দেয়ায়  অনতিবিলম্বে জেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা। ফসলহানির জন্য বাঁধ নির্মাণকারী ঠিকাদার, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবিও রয়েছে ভাটি ভাংলা আইনজীবী পরিষদের নেতাদের। স¥ারকলিপি দিয়েছেন ভাটি বাংলা আইনজীবী পরিষদের ৯ জন নেতা। তাদের মধ্যে রয়েছেন আবুল কালাম আজাদ, নাসিরুল হক আফিন্দি, জুবায়ের আবেদীন,মঞ্জু মিয়া আখিল চন্দ্র দাস, আব্দুল করিম, সফিকুল ইসলাম ও আব্দুল খালেক। ভাটি বাংলা আইনজীবী পরিষদ নেতা আবুল কালাম আজাদ ইনকিলাবকে বলেন সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলা ভাটি এলাকা বলে পরিচিত। এই ভাটি এলাকার তিনটি উপজেলায় অনেক হাওর ও বিল রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত টাঙ্গুয়ার হাওরটিও ভাটি এলাকার তাহিরপুর, ধর্মপাশা উপজেলা জুড়ে রয়েছে । জেলার বড় বড় হাওরগুলোর বেশিরভাগ এ তিনটি উপজেলায় রয়েছে। তাই হাওর ডুবেছে ভাটি এলাকার সব ক‘টি । জেলার ভাটি এলাকার মানুষ ফসল হারিয়ে মারাত্মক দুর্দিনে পড়েছে। অন্ন নাই, বস্ত্র নাই। পড়নে নেই কাপড়। কেনার টাকা নেই কারোর হাতে। তিনি বলেন জরুরিভিত্তিতে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা না পেলে এ ভাটি এলাকার মানুষকে বাঁচানো দায় হয়ে পড়বে। ক্ষুদ্র চাষিদের কৃষিঋণ মওকুফ করারও দাবি জানান ভাটি বাংলা আইনিজীবী পরিষদ নেতা আবুল কালাম আজাদ। সুনামগঞ্জ জেলায় এবার ২ লাখ ২৩ হাজার ৮২ হেক্টর বোরো জমি আবাদ করা হয়েছিল।  যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন ধান। কিন্তু এবার অতিবৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙ্গে এ ফসলের ৯০ ভাগ ডুবে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩ লক্ষাধিক কৃষিজীবী পরিবার ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুনামগঞ্জ

১১ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ