Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দাওয়াতের খাবার খেয়ে হাসপাতালের টিএইচও ও নার্সের মৃত্যু আটক ৩

| প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : দাওয়াতের খাবার খেয়ে মঙ্গলবার রাতে বিষক্রিয়ায় কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান (৪৪) এবং সিনিয়র নার্স জোবাইদা খাতুনের (৪০) মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ্য প্রধান সহকারী আলমগীর ফেরদৌসকে শজিমেক হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ওই হাসপাতালে কর্মরত ৩ জন কর্মচারীকে আটক করেছে। তদন্তে কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আটককৃতরা হলেন- কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক বরইতলী গ্রামের আব্দুল হামিদ, এমএলএসএস কাজিপুরের উল্লাপাড়ার মোয়াজ্জেম হোসেন ও মসলিমপাড়ার চান মিয়া। কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সমিত কুমার কুন্ডু জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে এখনও কোন মামলা হয়নি। আটককৃতরা ঘটনার সময়ে নিহত স্বাস্থ্য কর্মকর্তার রুমে কর্মরত ছিলেন। সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর রহমান জানান, ঘটনার তদন্তে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে কর্মরত মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক উদয় নারায়ন মোহন্তকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ্য প্রধান সহকারী আলমগীর ফেরদৌসকে শজিমেক হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাস্টাররোলে কর্মরত কর্মচারী কাজিপুরের বেড়িপোটলের লাকী খাতুন ও শুভগাছা গ্রামের রাশেদ গাঢাকা দিয়েছে বলে নাম প্রকাশ না শর্তে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত এক চিকিৎসক জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামানের রুমে প্রধান সহকারী আলমগীর ফেরদৌসের বাসায় রান্না করা খাবার আনা হয়। সেখানে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিনিয়র নার্স জোবাইদা ও প্রধান অফিস সহকারী আলমগীর ফেরদৌস একত্রে সেই খাবার খান। কিছুক্ষণ পরেই তারা যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। একপর্যায়ে আশংকাজনক অবস্থায় তাদের বিকেল চারটায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৯টার দিকে নার্স ও সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। নিহত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান পাবনার বেড়া উপজেলার সাানিলা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। সিনিয়র স্টাফ নার্স জোবাইদা খাতুন কাজিপুর উপজেলার বিয়ারা এলাকার বাবলু মিয়ার স্ত্রী। মৃত্যুকালে চিকিৎসক মনিরুজ্জামান স্ত্রী, ২ মেয়ে ও নার্স জোবায়দা স্বামী ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। আর জীব-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা প্রধান সহকারী আলমগীর ফেরদৌস রায়গঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ