পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ভাস্কর্যটি সরানোর বিষয়ে প্রধান বিচারপতিই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের অভিভাবক কিন্তু রাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি। এখানে যখন ভাস্কর্য বসানো হয়, তখন সেটা আমাদের জানানো হয়নি; সরানো হবে কিনা, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত প্রধান বিচারপতিই নেবেন। গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের সামনে ভাস্কর্য সরানো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (জেএটিআই) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাও জেএটিআই-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল লেবার স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড লেবার লেজিসলেশন ফর জাজেস অ্যান্ড জুডিশিয়াল অফিসার্স’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী। ৩০ বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে এ প্রশিক্ষণ চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত।
মন্ত্রী বলেন, যখন এই ভাস্কর্যের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে কিছু বিপরীত যুক্তি আসছে, তখন আমাদেরকে দেখতে হবে, সুপ্রিম কোর্ট অত্যন্ত পবিত্র স্থান। এখানে যেন কোনো অরাজক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেটা সকলের বিবেচনা করা উচিত। ভাস্কর্য সরানো নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষাপটে যেন কোনো ‘অরাজক পরিস্থিতি’ তৈরি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন আইনমন্ত্রী।
ওই ভাস্কর্য সুপ্রিম কোর্টের পবিত্রতাকে কলুষিত করেছে কিনা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি, এটা কিছু প্রশ্নের উদ্রেক করেছে, সেটা ধরে আপনারা বুঝে নেন আমি কী বলতে চাইছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রমজীবী মানুষের আইনি সেবা প্রাপ্তি সহজ করার লক্ষ্যে ঢাকায় বিদ্যমান তিনটি শ্রম আদালতের মধ্যে দু’টি শ্রমঘন এলাকা টঙ্গী ও নারয়ণগঞ্জে স্থানান্তর করা হবে। এ ছাড়া সিলেট ও রংপুরে দু’টি নতুন শ্রমআদালত স্থাপন করা হবে।
জেএটিআইয়ের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল বেøকেন, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক এবং বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস বি রেড্ডি বক্তৃতা করেন।
এরপর মন্ত্রী ঢাকার আইডিইবি ভবনে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন বিষয়ক আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইন মূলত আবগারী শুল্ক, টার্নওভার কর ও বিক্রয় করের পরিবর্তে প্রবর্তিত একটি পরোক্ষ কর ব্যবস্থা। বিভিন্ন সময়ে এতে বিচ্যুতি হয়েছে, সংযোজন হয়েছে। ফলে আইনটি মৌলিক বৈশিষ্ট হারিয়ে এখন একটি জটিল রূপ পরিগ্রহ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।