পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গোদাগাড়ী রাজশাহী থেকে মো: হায়দার আলী : বর্তমান সরকার বিভিন্ন খাতে দেশের প্রতিটি জনসাধারণের জন্য নানান মুখি উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি সেক্টর হলো কৃষি খাত। এটি বাংলাদেশর অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার। আমাদের দেশের কৃষক কাকডাকা রোদে পুড়ে বাংলাদেশের জনগণের মুখে খাবার তুলে দেবার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলে। তাই সরকার এই খাতটিকে চাঙ্গা করতে ও কৃষকদের কৃষি কাজে উৎসাহ প্রদানে সারাদেশের ন্যায় গোদাগাড়ী উপজেলাতেও কৃষি কাজে বিভিন্ন সরকারী সহায়তা কৃষকদের ঘরে পৌঁছে দিয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১২-১৩ সালের দিকে খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ৩০ ভাগ সরকারী ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে ২৭টি পাওয়ার টিলার সরবরাহ করা হয়েছে। মধ্যস্বত্বভোগীর সংখ্যা কমিয়ে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সেই লক্ষ্যে দ্বিতীয় শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্প (এসসিডিপি)-এর আওতায় উপজেলার গোপালপুর ও কদমশহরে ২০১৫-১৬ অর্থবছেরে দুটি কৃষি পণ্য সংগ্রহ ও বিপণন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।
উপজেলায় কৃষকদের মাঝে প্রায় ২৫ হাজার কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। যা কৃষকের পরিচয়পত্র হিসেবে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হচ্ছে। কৃষকদের মাঝে ১০ টাকার মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার কৃষকের ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে যার ফলে কৃষকগণ বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা ব্যাংক হিসাব নম্বরে গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। বর্তমান সরকার শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করে কৃষকদের দক্ষ করে তুলছে। নতুন নতুন বিভিন্ন প্রযুক্তির প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে। চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম, পাট উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প এবং চাষী পর্যায়ে ডাল, তেল, পেঁয়াজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক নিজেদের বীজ নিজেরাই উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছে।
গোদাগাড়ী উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে চাষীরা ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ উৎপাদন শুরু করেছে এবং বাজারমূল্য ভালো পাচ্ছে। উচ্চ মূল্যের ফসল চাষাবাদের লক্ষ্যে দ্বিতীয় শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্প (এসসিডিপি)-এর আওতায় বিভিন্ন উচ্চ মূল্যের ফসলের চাষাবাদ কলাকৌশলের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের উদ্যোগে ও ব্র্যাক-এর মাধ্যমে উপজেলার ক্ষুদ্র কৃষক দলের সদস্যদের সহজ শর্তে ফসলভেদে ঋণ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে ভূমিকা রাখছে।
এছাড়াও টেকসই ও পরিবেশবান্ধব কৃষি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আইপিএম ও আইএফএমসি প্রকল্পের আওতায় কৃষক-কৃষাণীদের নিয়ে কৃষক মাঠ স্কুল গড়ে তোলা হচ্ছে এবং সেখানে মৌসুমব্যাপী বিভিন্ন ফসলের উপররে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। রাজস্ব প্রকল্পের আওতায় ফল ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধ কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে বেগুনের জাত হিসেবে টিটি বেগুনের চাষাবাদ সম্প্রসারণে কৃষককে প্রশিক্ষণসহ মাঠ পর্যায়ে প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রাজস্ব খাতের আওতায় পুষ্টি ও লাভজনক ফসল বিবেচনা রেখে মাঠ পর্যায়ে মালটা চাষাবাদে ভূমিকা রাখছে। ইতোমধ্যে সরকারিভাবে ৩০টি মালটা প্রদর্শনী খামার স্থাপন করা হয়েছে।
কৃষি কাজে সরকারী সহায়তা সম্পর্কে গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার তৌফিকুর বলেন, সরকার কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে যে সবকাজগুলো হাতে নিয়েছেন তা খুবই ভালো উদ্যোগ। এ সব উদ্যোগগুলো কৃষকরা সঠিকভাবে গ্রহণ করে কাজে লাগাতে পারলে কৃষকরা নিজেরাই লাভবান হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।