Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাহুবলে বোরো জমি পানির নিচে কৃষকের হাহাকার

| প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাহুবল (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাহুবল উপজেলার অধিকাংশ বোরো জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। সর্বত্র কৃষকদের মাঝে চলছে হাহাকার। সব হারিয়ে দিশেহারা কৃষকরা বানের জলে নিমজ্জিত আধা-কাঁচা ধান সংগ্রহ করছেন। কিন্তু তা খাওয়ার উপযোগী না হওয়ায় স্ত‚প করে ফেলে রাখছেন এবং এসব নষ্ট হয়ে যাওয়া ধানের স্ত‚পের পাশে বসে অনাগত দুর্দিনের শঙ্কায় চোখে শষ্যফুল দেখছেন কৃষকরা। উপজেলার হাওর-নন হাওর সর্বত্র একই চিত্র বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে হবিগঞ্জ-সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারা কৃষকদের সান্ত¡না দিয়েছেন, সহায়তার প্রতিশ্রæতিও দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও কৃষকরা বুকবাঁধতে পারছেন না। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, এবার উপজেলার ৭ ইউনিয়নে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে হাওরাঞ্চলে ৪ হাজার ৪৫০ এবং নন-হাওরাঞ্চলে ২ হাজার ৮৮০ হেক্টর। গত ক’দিনের অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ১ হাজার ৮৬০ হেক্টর ভ‚মি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমাঝে হাওরে ১ হাজার ৫৯০ এবং নন-হাওরে ২৭০ হেক্টর জমি বানের জলে নিমজ্জিত ও আক্রান্ত হয়েছে। সূত্র মতে, উপজেলার স্নানঘাট, সাতকাপন ও বাহুবল সদর ইউনিয়নজুড়ে ঘুঙ্গিয়াজুরি হওড়ে এবার ৪ হাজার ৪৫০ হেক্টর ভ‚মিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মাঝে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর ভ‚মি বানের জলে নিমজ্জিত হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় এবং উজানের পানি নেমে প্রতিমুহূর্তে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে বলেই মনে করছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা। হাওরাঞ্চলে ঘুরে এবং স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাস্তবে ঘুঙ্গিয়াজুরি হাওরের অধিকাংশ বোরো জমির আধা-পাকা ধান বানের জলে তলিয়ে গেছে। হাওরে পানি বাড়তে থাকায় অবশিষ্ট বোরো জমিগুলোও তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এছাড়া উপজেলার নন-হাওরাঞ্চলের বোরো জমিগুলোতে পাহাড়ি ছড়ার স্রোতধারা ও করাঙ্গী নদীর অকার বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফলে ওই অঞ্চলগুলোরও বোরো ধানসহ অন্যান্য মৌসুমী সবজি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ