হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
মোবায়েদুর রহমান : এখন বাংলাদেশের সমস্ত মানুষ জেনে গেছে, গণচীন বাংলাদেশকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। সে জন্যেই চীনের প্রেসিডেন্ট তার বিগত বাংলাদেশ সফরের সময় সরকারি খাতে ২৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৪০০ কোটি ডলার সাহায্যের অঙ্গীকার করে গেছেন। তার সাথে যে ব্যবসায়ীরা এসেছিলেন এসেছিল তারা বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে আরো ১৩ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ১৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাত মিলে বাংলাদেশে চীনের সাহায্য ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ৩৭ বিলিয়ন ডলার বা ৩৭০০ কোটি ডলার। এটি এত বিশাল যে, এর বিশালত্ব এবং ব্যাপ্তি কল্পনা করা যায় না। এত বিশাল অংকের অর্থ বাংলাদেশের বিগত ৪৬ বছরে কোনো দেশ একবারে এককভাবে দেয়নি। আমেরিকা পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনীতি। সেই দেশটিও বিগত ৪৬ বছরে এভাবে একবারে এত বিশাল অংকের অর্থ সাহায্য দেওয়া তো দূরের কথা, অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেয়নি। অথচ চীন পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনীতি নয়, দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। সেই দেশ এই বিশালতম অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিল। কেন দিল? এই প্রশ্ন বাংলাদেশের শিক্ষিত সচেতন মানুষের মনকে এখন আন্দোলিত করছে। এমনকি ঘরোয়া আলোচনাতেও অনেকে প্রশ্ন করেন, চীন বাংলাদেশের প্রতি এত বিপুল ইন্টারেস্ট দেখাচ্ছে কেন? অনেকে এ প্রশ্নটির উত্তর খোঁজার জন্য রীতিমতো গবেষণায় নেমে পড়েছেন।
এ প্রশ্নটি আরো সামনে চলে আসে এ কারণে যে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ভারতনির্ভর, এ কথা সকলেই জানেন। বাংলাদেশ প্রায় চারদিক দিয়ে ভারত বেষ্টিত, এ কথাও সকলেই জানেন। এমন একটি ভৌগোলিক অবস্থান যার, সেই দেশটি যে অনেকখানি ভারতনির্ভর হবে সেটি ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশ প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি ভারতনির্ভর। এসব কথা পুরনো হয়ে গেছে যে, বাংলাদেশ ভারতকে শুধু দিয়েই গেছে, বিনিময়ে কিছুই পায়নি। অনেকের মতে, কিছুই পায়নি বললেই ভুল হবে, পাওয়ার কোনো চেষ্টাও করেনি। তার পরেও কেন যে এই সম্পূর্ণ ভারতনির্ভরতা সেটি অনেকের বোধগম্য নয়। এমন একটি পটভ‚মিকায় গত অক্টোবরে চীন এই ৩৭ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ নিয়ে এসে হাজির। তার পরে ঘটল আর একটি ঘটনা। বাংলাদেশ চীন থেকে দুটি সাবমেরিন কিনল। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর ভারত থেকে বাংলাদেশে ছুটে এলেন তদানীন্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর। তার পর এলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।
গত ৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ক একাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে সামরিক খাতে ব্যয়ের জন্য ভারত কর্তৃক ৫০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশ চলতি বছর দুটি সাবমেরিন কেনার পর থেকেই বিষয়টি ভারতের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকার ওপর বেইজিংয়ের আধিপত্যকে বাধা দিতেই অনেক তাড়াহুড়ো করে ঢাকার সাথে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা প্রস্তাব সই করে ভারত। আগে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের এক সপ্তাহ আগে ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত গত ৩১ মার্চ তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। এসব ঘটনার পটভ‚মিতে বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষিত মানুষের মনে যে প্রশ্নটি নাড়া দিচ্ছে সেটি হলো- চীন বাংলাদেশের প্রতি এত গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে কেন? বিষয়টি নিয়ে কিছুটা গবেষণার পর যা বেরিয়ে আসে তা নিম্নরূপ।
\দুই\
সকলেই জানেন যে, গণচীনের অর্থনীতি বিগত ২০ বছরে অত্যন্ত দ্রুত অগ্রগতি লাভ করেছে। সেই অগ্রগতিরই ফলশ্রুতি হলো বহিঃজগতে সাহায্যের বিশাল প্যাকেজ নিয়ে চীনের হাজির হওয়া। আগেই বলেছি যে, চীনের অর্থনীতি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। এত বিশাল একটি অর্থনীতি বহুলাংশে জ্বালানি বা তেলনির্ভর। এই তেল আসে ভারত মহাসাগর দিয়ে। বিদেশ থেকে চীন যে তেল আমদানি করে তার ৮০ শতাংশ আসে মালাক্কা প্রণালী দিয়ে। ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে সংযোগকারী একটি সরু জলপথ হলো মালাক্কা প্রণালী। ইউরোপ, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে চীন মালাক্কা প্রণালী দিয়েই সমুদ্রপথে যাতায়াত করে। কারণ এসব জায়গায় যাতায়াতের জন্য মালাক্কা প্রণালীর পথটিই চীনের জন্য সংক্ষিপ্ততম পথ। যতই দিন যাচ্ছে ততই চীনের জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে। এর ফলে একদিকে মালাক্কা প্রণালীর গুরুত্ব চীনের কাছে যেমন বাড়ছে তেমনি এর আশেপাশের সাগর তীরবর্তী দেশগুলোর গুরুত্বও বাড়ছে। বোধগম্য কারণেই গণচীন এসব দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। চীনের এই সামুদ্রিক বাণিজ্য পথে তার প্রভাব সংহত করার জন্য, আবার একই সাথে এর ওপর নির্ভরতা হ্রাসের জন্য ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী দেশসমূহে চীন বিপুল অংকের অর্থ বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশ ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানে রয়েছে। তাই চীনের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সে জন্যই বাংলাদেশে চীন সাহায্যের বিশাল প্যাকেজ নিয়ে হাজির হয়েছে। ভারত মহাসাগরের, বিশেষ করে মালাক্কা প্রণালীর তীরবর্তী দেশগুলোকে নিয়ে, চীন মুক্তোর মালা (String of Pearls) গাঁথতে চায়। আর সে জন্যই এসব দেশে চীন অবকাঠামো নির্মাণসহ বিশাল বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসছে।
আমরা আগেই বলেছি যে, এই সমুদ্রপথ অর্থাৎ মালাক্কা প্রণালী দিয়ে চীনের সামুদ্রিক জাহাজ চলাচল নিষ্কণ্টক করার জন্য চীন একদিকে যেমন তীরবর্তী দেশগুলোতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে, তেমনি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এই প্রণালীর ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য চীন একটি বিশাল পাইপ লাইন নির্মাণ করছে। এই পাইপ লাইনটি মিয়ানমারের কিয়াকপিউ থেকে কুনমিং পর্যন্ত প্রলম্বিত হবে। এর পাশাপাশি তারা আরেকটি সমান্তরাল পাইপ লাইন নির্মাণ করতে চায়। সেটি হবে চট্টগ্রাম, কিয়াকপিউ ও কুনমিং পর্যন্ত। যদি ভারত কোনো সময় মার্কিন সাহায্য নিয়ে আন্দামান দ্বীপ হয়ে মালাক্কা প্রণালী বন্ধ করে দেয় তাহলে তা চীনের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনবে। এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি যেন না হয় সে জন্য চীন তীরবর্তী দেশগুলোর ওপর অধিকতর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
দীর্ঘকাল ধরে চীন এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নিয়ে ব্যস্ত ছিল। কিন্তু এখন নজরটি একটু ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ওপর নিবদ্ধ করেছে। এর সঙ্গত কারণও রয়েছে। কারণ পৃথিবীর এক-চতুর্থাংশ লোক এই দক্ষিণ এশিয়ায় বাস করেন। চীন এখন পৃথিবীর এক নম্বর রপ্তানিকারক দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার এই বিশাল বাজার থেকে সে মুখ ঘুরিয়ে রাখতে পারে না। কিন্তু এখানে ঢোকার ক্ষেত্রে চীনের একটি অসুবিধা রয়েছে। ভারতে ঢুকতে গেলে অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে তাকে ঢুকতে হবে। কিন্তু অরুণাচল নিয়েই চীন ও ভারতের দ¦›দ্ব। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান হয়েও এখানে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। তাই দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবেশে চীনের জন্য সবচেয়ে সহজ পথ হলো বাংলাদেশ। এ জন্যই তারা চেষ্টা করছে একটি উপ-আঞ্চলিক করিডোর সৃষ্টি করতে। আর সেই করিডোরটির নাম হলো বিসিম ((BCIM) ) করিডোর। বিসিম হলো বাংলাদেশ, চীন, ভারত এবং মিয়ানমার। আর সেই করিডোর দিয়ে যাতায়াত করতে হলেও বাংলাদেশকে সাথে রাখতে হবে। সে জন্যই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চীন অনুসরণ করছে চেকবই কূটনীতি। বিশাল অংক লেখা হচ্ছে এই চেক বইয়ে।
\তিন\
চীন বিলক্ষণ বুঝে গেছে যে, আমেরিকা এশিয়াতে চীনের প্রভাব বলয় ঠেকাতে চায় ভারতের মাধ্যমে। এই এলাকায় ভারতের আঞ্চলিক প্রভাব ঠেকানোর জন্য চীন ভারতের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোতে অস্ত্র বিক্রি করছে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, চীন এই মুহূর্তে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ। ২০১১-২০১৫ সালের মধ্যে অর্থাৎ এই ৪ বছরে চীনের রপ্তানিকৃত অস্ত্রের ৭১ শতাংশই গিয়েছে পাকিস্তান, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশে। বিগত ১ দশকে বাংলাদেশ যত সমরাস্ত্র আমদানি করেছে তার ৮০ শতাংশ এসেছে চীন থেকে। যখন কোনো দেশ ট্যাংক এবং সাবমেরিনের মতো ভারি অস্ত্র কোনো দেশ থেকে আমদানি করে তখন ওইসব অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের জন্য সেই দেশটির ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল হতে হয়। চীনের ক্ষেত্রেও ঘটেছে তাই। এ এলাকায় ভারতের প্রভাব রোধ করার জন্য চীন কম দামে উন্নত মানের অস্ত্র ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে বিক্রি করছে। শুধু কম দামেই নয়, এসব ক্রয় করার জন্য চীন ক্রেতা দেশগুলোকে সহজ শর্তে ঋণও দিচ্ছে। অস্ত্র বিক্রির স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও বাংলাদেশের অস্ত্র সরবরাহে চীনের রয়েছে ভারতীয় প্রভাব ঠেকানোর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।
’৬০-এর দশকে এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট গড়ার ব্যাপারে চীন দি¦ধাদ¦›েদ্ব ছিল। কিন্তু ’৯০-এর দশকে এসে চীন সেই দি¦ধাদ¦›দ্ব কাটিয়ে ওঠে। এ সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাকে সাহায্য করে এশীয় অর্থনৈতিক সংকট। শি জিং পিং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর চীন এশীয় দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক জোট গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এক সময় তারা শুধুমাত্র দক্ষিণ এশিয়ার সাথেই কানেক্টিভিটি নির্মাণে আগ্রহী ছিল। কিন্তু এখন তার অর্থনৈতিক বলয় বিস্তার করেছে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া পর্যন্ত। এখন চীন এক সাথে দুটি ফ্রন্টে শাখা বিস্তার করছে। একটি হলো পশ্চিমে ইউরেশিয়া পর্যন্ত। আরেকটি হলো দক্ষিণে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত। ভারত ছাড়াও এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিনি প্রভাব খর্ব করার দিকেও সে নজর দিয়েছে। এই উদ্দেশ্যেই চীন গ্রহণ করেছে অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী প্রকল্প “One Belt One Road’’. বিসিম করিডোরে অর্থাৎ বাংলাদেশ চীন ভারত এবং মিয়ানমার করিডোরের ঠিক কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশ। একবিংশ শতাব্দীতে চীন যে সামুদ্রিক করিডোর বা সামুদ্রিক সিল্ক রুট নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে সেখানেও একটি কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর সেটি হলো চট্টগ্রাম বন্দর। চট্টগ্রাম বন্দর এখন চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড পলিসি এবং সামুদ্রিক সিল্ক রুট পলিসি উভয়ের বাস্তবায়নের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড বা OBOR হলো প্রেসিডেন্ট সি জিং পিংয়ের সবচয়ে উচ্চাভিলাষী প্রকল্প। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়েই তিনি তার পররাষ্ট্রনীতি এবং অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন করতে চান। এই নীতির মাধ্যমেই তিনি চীনকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অবাধ বাণিজ্যের নেত্রী পদে অধিষ্ঠান করতে চান। আর সেটা করতে গিয়ে ভারতের চার ধারে যেসব রাষ্ট্র রয়েছে সেই সব রাষ্ট্র, অর্থাৎ পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি দেশে চীনের প্রভাব বলয় বিস্তার করতে চান। এ ক্ষেত্রে দুটি দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একদিকে পাকিস্তান, অন্যদিকে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের সাথে চীনের সম্পর্ক এখন সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ। বাংলাদেশের সাথেও চীন অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।