Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পোল্ট্রি খামারে স্বাবলম্বী শালিখার শাহাজাহান

| প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে : পোল্ট্রি মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী গ্রামে অবস্থিত মেসার্স রহিম পোল্ট্রি ফার্মের মালিক মো. শাহাজাহান মিয়া। ২০০৭ সালে ১ হাজার লেয়ার মুরগির বাচ্চা নিয়ে শুরু করেন খামারের কার্যক্রম। সেখান থেকে তিনি ধীরে ধীরে ডিম ও মুরগির ব্যবসায় সফলতার মাধ্যমে বর্তমানে ৬০ শতক জমির উপর তিনটি সেড খামার গড়ে উঠেছে। বর্তমানে তিনটি খামারে ৭ হাজারেরও বেশি ডিম পাড়া লেয়ার মুরগি আছে। প্রতিদিন এ খামার থেকে গড়ে ২ হাজার ৭শ ডিম পাচ্ছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৭ হাজার ২শ টাকা। এসব মুরগির প্রতিদিনের খাবার লাগে ১০ বস্তা অর্থাৎ প্রায় ৫শ কেজি। সেড খামারে প্রতিদিন ৫ জন শ্রমিক কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। তাদেরকে ৮/১০ হাজার টাকা করে মাসে বেতন দেওয়া হয়। রোগব্যাধি থেকে রক্ষার জন্য প্রতিদিনই মুরগির ভিটামিন, ক্যালসিয়াম জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো হয়। খামারের মালিক মো. শাহাজাহান মিয়া জানায়, বর্তমান ডিমের বাজার কম হলেও এ ব্যবসায় তার ভালই মোনাফা হচ্ছে। তিনি বলেন, একটি লেয়ার মুরগি ১২ মাস ডিম দেয়। প্রতিটি ডিম বাজারে পাইকারি ৬/৭ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। পরবর্তীতে মুরগি ডিম পাড়া শেষ হলে বাজারে পাইকারি বা খুচরা বিক্রি করে দেওয়া হয়। এতে মূলধন ফিরে আসে। ৭ হাজার মুরগি বিক্রি করলে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা পাওয়া যায়। যে কারণে ব্যবসায় লোকসানের চেয়ে লাভের অংশটাই বেশি থাকে। সব কিছু মিলে সে এখন পোল্ট্রির খামার করে স্বাবলম্বী। বর্তমানে তার পোল্ট্রির খামার দেখে এলাকার যুব সমাজ উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অনেকেই এ ব্যবসা করতে শুরু করেছে। সে বলে যুব সমাজ তথা সকল বেকার মানুষ পোল্ট্রি ফার্ম করে নিজেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন। সে লক্ষে দেশি ও বিদেশি সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাহায্য ও সহযোগিতা আহŸান করে শাহাজাহান। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মাসুমা আখতারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মো. শাহাজাহান মিয়া একজন সফল লেয়ার খামারি। শাহাজাহান এলাকার যুব সমাজের জন্য অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত। তিনি জানান, শাহাজাহানের খামার পরিদর্শন করে সকল প্রকার পরামর্শ সব সময় দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে যারা উদ্যোগ গ্রহণ করবে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ