Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোরে নারী শ্রমিক কিশোরগঞ্জে গৃহবধূ খুন

ধর্ষণের পর ছুরিকাঘাত

| প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশ্বনাথে অজ্ঞাত নারীর লাশ দাফন
ইনকিলাব ডেক্স : পৃথক ঘটনায় যশোরে হোটেল নারী শ্রমিক ও কিশোরগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্বনাথে এক অজ্ঞাত নারীর লাশ দাফন করা হয়েছে।
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোর শহরের নড়াইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছায়া খাতুন (১৯) নামে এক নারী হোটেল শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। রোববার সকালে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। সে যশোরের শার্শা উপজেলার ত্রিমোহিনী গ্রামের ইমান আলীর মেয়ে ও নড়াইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার মফিজুর রহমান বাবুর খাবারের হোটেলের কর্মী। পুলিশ, হোটেল শ্রমিক নেতা ও স্থানীয়দের ধারণা তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা জানান, ছায়া খাতুন হোটেল ভবনের তিনতলায় আরেক কর্মী আমেনা বেগমের সাথে থাকতেন। দ্বিতীয় তলায় হোটেল মালিক বাবু তার স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন। তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। একইসাথে হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে হোটেল মালিক মফিজুর রহমান বাবু, তার স্ত্রী নাসিমা খাতুন ও হোটেল কর্মী আমেনা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
হাটেল রেস্তোরাঁ মিষ্টি বেকারি শ্রমিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম জানান, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে ছায়া খাতুন ওই হোটেলে শ্রমিকের কাজে যোগ দিয়েছিল। কাজ শেষে তিনতলার টিনশেডে এক বৃদ্ধা সহকর্মীর সাথে রাতে ঘুমাতো। রোববার ভোরে পুলিশ খবর পায় কে বা কারা মেয়েটিকে ধর্ষণের পর খুন করেছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দেখে লাশের পরনে কোনো কাপড় নেই, একটি কাঁথা দিয়ে ঢাকা। আর গলার কাছে তিনটি ছুরির আঘাত।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ নিহত ছায়ার লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এদিকে, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন ছায়া খাতুনের হত্যাকারীদের চিহ্নিত ও শাস্তির দাবিতে রোববার দুপুরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
কিশোরগঞ্জে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নে বাড়ী মধুপুর গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কক্ষ থেকে রোববার সকালে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। জানা গেছে, শনিবার গভীর রাত থেকে নিতাই ইউনিয়নের বাড়ী মধুপুর কুটিয়ালপাড়ার গোলাম মোস্তফার মেয়ে ও একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী ফজিলা খাতুন (২০) বাড়ীতে না থাকায় বাড়ীর লোকজন বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে। রোববার সকালে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী বাড়ী মধুপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি কক্ষে এলাকাবাসী ফজিলা খাতুনের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জেলার মর্গে প্রেরণ করে। কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশীদ বলেন, লাশের বুকে ও পাজরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ।
বিশ্বনাথে অজ্ঞাত নারী লাশের দাফন
বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা : সিলেটের বিশ্বনাথের পল্লী থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত নারীর লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়নি দুই দিনেও। পরিচয় শনাক্ত না হলেও ওসমানী হাসপাতালে পোস্ট মর্টেম শেষে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে শনিবার রাতে সিলেটের মানিক পীর টিলায় বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশের এসআই রফিক হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা (১১, তাং- ২২.০৪.১৭) দায়ের করেছেন। নিহত নারীর ভ্যানেটি ব্যাগে পাওয়া ২টি ছবির সূত্র ধরে হত্যাকাÐের সাথে জড়িত সন্দেহে গতকাল (রোববার) পুলিশ যুবলীগ নেতাসহ ২ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃতরা হলো- রামপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি, রামচন্দ্রপুর গ্রামের ইমরান আহমদ ও পালেরচক গ্রামের লুৎফুর রহমান। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আটককৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে থানা পুলিশ। সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাÐ সম্পর্কে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন গতকাল বিকেলে ৫টায় এ প্রতিবেদককে বলেন, অজ্ঞাত নারীর লাশ এখনও শনাক্ত হয়নি। পোস্ট মর্টেম শেষে শনিবার রাতে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, লাশের ভ্যানেটি ব্যাগে পাওয়া দুটি ছবির সূত্র ধরে দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ