বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মহসিন রাজু , বগুড়া থেকে : উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাচ্ছে যমুনার চরাঞ্চল। বাদ থাকছে না ফসলি জমি। চরাঞ্চলে নানা জাতের ফসল পানিতে ভাসছে। পানি বন্দী ফসলি জমি নিজ চোখে দেখেও কিছুই করার নেই চরের অসহায় মানুষগুলোর। ঢলের পানিতে বিলীন হচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন!
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় পাহাড়ী ঢল ও টানা বৃষ্টিতে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে কালো বোরো ধানের পর এবার ধনিয়া, জাউন, কালোজিরাসহ বিভিন্ন ধরনের মসলা জাতীয় ফসল ডুবছে যমুনা নদীর পানিতে। যমুনা চরের একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রত্যেক বছর বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর যমুনা চরে বালুর ওপর পলি মাটির স্তর পড়ে। এই মাটি চাষের জন্য খুবই উপযোগী এবং উর্বর। তাই কম খরচে চরের জমিতে অধিক ফসল ফলানো সম্ভব। প্রতি বছর ধান, পাট, আখ, ভুট্টা, মরিচ, কালাই, আলু চাষের পাশাপাশি ধনিয়া, তিল, তিসি, জাউন, কালোজিরাসহ নানা ধরনের মসলা জাতীয় ফসল চাষ করেন কৃষকেরা। এবারও একই ভাবে নানা ধরনের মসলা জাতীয় ফসল চাষ করেছেন। সময় মত চাষ করে চাষিরা যখন ফলন পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন ঠিক তখনি নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে মসল্লা জাতীয় ফসলের পাশাপাশি বেশ কিছু একর ধানের জমি ও তলিয়ে গেছে।
বগুড়া ধুনট উপজেলার বৈশাখী চরের হতভাগা চাষীরা বলেন , প্রতি বছরের মতই চলতি মৌসুমে তারা জমিতে ধনিয়া চাষ করেছিলেন। কিন্ত এবার নদীতে আগাম পানি বেড়ে সেই ধনিয়া ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানিতে ডুবে যাওয়া ধনিয়া গাছ গুলো পচতে শুরু করেছে। এই জমি থেকে এবার এক মুঠো ধনিয়াও পাওয়া যাবে না।
বগুড়া ধুনট উপজেলার পুকুরিয়া চরের লাল মিয়া বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার নদীতে পানি বেড়েছে বেশী। এই সময় চর ও চরের আশপাশের উচুঁ জমির কৃষকরা ধান, ধনিয়া, মরিচ, জাউনসহ অন্যান্য ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষায় থাকে। আর কিছু দিন গেলে ফলন পাওয়া যেতো। ঠিক সে সময়ে হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফসলের ক্ষেত ডুবিয়ে দিয়েছে। নিচু এলাকার জমিতে গত ৩ থেকে ৪ দিন ধরে পানি জমে আছে। এর সাথে টানা বর্ষণে আরো পানি বেড়েছে। গাছের কাÐে পচন ধরেছে। পানি কমে গেলে সেটি আরো বেশি বোঝা যাবে।
বগুড়ার ধুনট উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছোবাহান বলেন, কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় চরের জমিতে অন্যান্য ফসলের সাথে মসলা জাতীয় ফসলও চাষ করেন কৃষকেরা। চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে মসলা জাতীয় ফসল চাষ হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা বাজারে ভাল দাম পায় বলে প্রতি বছর মসলা জাতীয় ফসল চাষ করে। চাষ করার পর প্রকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়তে পারে। কিন্তু তেমন কোন ক্ষতি হয় নি। তিনি উল্লেখ করে বলেন, এরমধ্যে চরের নীচু এলাকায় চাষকৃত জমির ফসল পানিতে তলিয়ে কৃষকের সামন্যতম ক্ষতি হয়েছে। তবে, চরের উচু অংশের জমিতে চাষকৃত ফসলের কোন ক্ষতি হওয়ার আশংকা নেই। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চরের সব ধরনের ফসলেই ভাল ফলন পাওয়া যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।