ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৪ উপজেলায় ১৪৪ ধারা, বিজয়নগরে হরতাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাড. ছায়েদুল হকের আগমনকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৪ উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক অনুষ্ঠান নিয়ে প্রতিপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়ায় এ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
শনিবার মধ্যরাতে বিজয়নগর, সদর, আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেন স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। অন্যদিকে বিজয়নগরে মন্ত্রীর আগমনের প্রতিবাদে আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মন্ত্রী ছায়েদুল হকের অনুষ্ঠান নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করায় ৪ উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এদিকে, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, মন্ত্রীর আগমন ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। অন্তত ২০ হাজার মানুষ মন্ত্রীর আগমন ঠেকাতে রাজপথে অবস্থান নেবে। অপরদিকে, সরকারি অনুষ্ঠান যেকোনো মূল্যে করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে মন্ত্রীর অনুগতরা।
উল্লেখ্য, আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নবনির্মিত উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাড. ছায়েদুল হকের। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. তানভীর ভূঁইয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মন্ত্রী ছায়েদুল হকের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেন।
পরে এদিন বিকেলেই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন রবিবার বিজয়নগরে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন। এরপর শুক্রবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে মারধর ও কার্যালয় ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া দুর্বৃত্তরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নামফলকও ভেঙে দেয়।