Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লাখ টাকার গাছ ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি

| প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৩টি গাছ প্রভাশালী একটি সিন্ডিকেট চক্র উপজেলা শিক্ষা অফিস ও বন বিভাগকে ম্যানেজ করে গাছগুলো ২৮ হাজার টাকায় বিক্রির করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বড়হিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩টি (রেইনট্রি) গাছ বিক্রির জন্য দরপত্র আহŸান করে উপজেলা শিক্ষা অফিস। দরপত্র বিক্রির পর ১১ এপ্রিল ছিলো জমা দেয়ার শেষ তারিখ। সে মোতাবেক আলাপ-আলোচনা করে ৩টি দরপত্র বিক্রির পর তা জমা নেয়া হয়, দরপত্রে উল্লেখিত গড় মূল্যের কিছু টাকা কম বেশি করে। দরপত্রে গাছ ৩টির মূল্য ছিলো ২৭ হাজার ৫০০ টাকা আর বিক্রি করা হয় ২৭ হাজার ৭০০ টাকায়। দরদাতা হিসেবে গাছ ৩টি ক্রয় করেন বড়হিত গ্রামের আ: খালেক নামের একজন ব্যক্তি। আ: খালেক গাছগুলো পাওয়ার পরপরই পাইকুড়া গ্রামের আবুল কাসেম নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে ৭১ হাজার টাকায় বিক্রি করে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে নেয়। দরপত্র ক্রয় করে গাছ প্রাপ্ত আ: খালেক বলেন, যথাযথ নিয়মের মাধ্যমে গাছগুলো পাওয়ার পর বেপারীর কাছে বিক্রি করেছি। এ ব্যাপারে কাঠ ব্যবসায়ী আবুল কাসেম বলেন, প্রধান শিক্ষক ও কমিটির কাছ থেকে ৭১ হাজার টাকা দিয়ে গাছ ৩টি ক্রয় করি। গাছগুলো ডালপালাসহ বিক্রি করলে ৩৫-৪০ হাজার টাকা লাভ হবে। বড়হিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ভ‚ইয়া বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তা এসে গাছগুলো দেখে মূল্য নির্ধারণ করেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে দরপত্র আহŸান করে গাছগুলো বিক্রি করা হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: আলী সিদ্দিক বলেন, বন বিভাগের লোকজন সরজমিন গিয়ে গাছগুলো দাম নির্ধারণ করে যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। দরপত্রে গাছগুলোর মূল্য কম হলো কি না আমি তা বলতে পারবো না। এ বিষয়ে বন বিভাগ ভাল বলতে পারবে। ঈশ্বরগঞ্জের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার লুৎফর রহমান বলেন, সরকারিভাবে নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুযায়ী গাছের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে দরপত্র আহŸানের সময় এই বিষয়টি প্রকাশ করা হয় না। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষা অফিস যদি মৌখিকভাবে প্রকাশ করে তবেই এই নিকোজিশন হতে পারে। এর দায় ভার সম্পূর্ণ শিক্ষা অফিস ও শিক্ষকের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ