Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আকাশের নিচে চলে পাঠদান, মেঘ দেখলেই শিক্ষার্থীরা ছুটে বাড়ি

কাল বৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত স্কুল ঘর

| প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কাল বৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ায় বেকাটারী নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করা হচ্ছে। তাই আকাশে মেঘ দেখলেই শিক্ষার্থীরা বই-খাতা গুছিয়ে প্রস্তুতি নেন বাড়ি যেতে। জানা গেছে উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের বেকাটারী নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০৯ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। টিনসেড ঘরে চলে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। গত ১৫ এপ্রিল কাল বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়টির টিনের চাল উড়ে নিয়ে যায়। সেই থেকে বিদ্যালয়টি লেখাপড়া করার অনুপোযুক্ত হয়ে পড়ে। যার কারণে বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজেই পাঠদান গ্রহণ করছে। মেঘ দেখলেই শিক্ষার্থীরা বই খাতা গোছগাছ শুরু করেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২৯১ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছেন। এরমধ্যে শিশু শ্রেণিতে ৩৮ জন, প্রথম শ্রেণিতে ৩৭, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৬০, তৃতীয় শ্রেণিতে ৫৯, চতুর্থ শ্রেণিতে ৪৩ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৩২ জন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার শতভাগ। সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদানের কারণে অনেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মঞ্জু মিয়া (রোল নং-১৮), চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী পল্লবী রানী (রোল নং- ১৫) জানান কাল বৈশাখী ঝড়ে আমাদের বিদ্যালয়টি বিধ্বস্ত হওয়ায় এখন অনেক শিক্ষার্থী আসছে না। কারণ বসার জায়গা নেই, নেই পায়খানা-প্রসাবের ব্যবস্থা। এজন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই সরকারিভাবে পাকা ভবন জরুরি ভিত্তিতে নির্মাণ করা দরকার। এ নিয়ে কথা হয় সহকারি শিক্ষক মহসিনা বেগমের সাথে। তিনি জানান, ভবন না থাকার কারণে ঠিকমত পাঠদান করা সম্ভব হয় না। কারণ খোলা আকাশের নিচে পাঠদানে শিক্ষা উপকরণের সঠিক ব্যবহার করা যায় না। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোজাফফর হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান গত ১৫ এপ্রিল ঝড়ে বিদ্যালয়টি বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে লেখাপড়ায় ভাটা পড়েছে। ঝড়ে বিধ্বস্তের তথ্য উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ