Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেন্দুয়ায় বিনা-৮ বোরোর শীষে চাউল নেই ক্ষতিপূরণ দাবি কৃষকের

| প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) উপজেলা সংবাদদাতা : কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে বিনা-৮ জাতের বোরো ধান চাষ করে চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন এলাকার চাষিরা। শীষ বের হওয়ার পর পুরো ক্ষেতেই চাউল না আসায় এসব কৃষকরা এখন দিশেহারা। অধিক ফলনের আশায় বুক বেঁেধ কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষি বিভাগের দেওয়া সার বীজে এ ধান চাষ করে মরণ দশা অবস্থা হয়েছে তাদের। জানা যায়, কৃষি অফিসের উৎসাহে কেন্দুয়া উপজেলার গÐা ইউনিয়নের বোয়ালী গ্রামের সচেতন কৃষক আলী আকবর তার ৮০ শতক জমিতে বিনা-৮ জাতের ধানের আবাদ করেন। আবাদে সার্বিক দিক নির্দেশনা দেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন। আবাদের পর কৃষকের সঠিক পরিচর্যা পেয়ে অন্য জমির তুলনায় বিনা-৮ জাতের ক্ষেত আলাদা দেখা গেলেও তৌড় আসার পর কৃষক পুরো হতাশা হয়ে পড়েন। তৌড় আসার দীর্ঘদিনেও শীষে বের না হওয়ায় দুশ্চিন্তা নিয়ে উপ-সহকারী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তা কৃষক আলী আকবরকে সঠিক কোন জবাব না দিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। ধানের গোছা বেশ সতেজ ও মোটা হওয়া সত্তে¡ও শীষ আসার পর তাতে চাউল না আসায় হতাশার বিষয়টি সেই কৃষক আর কোনমতেই চাপা রাখতে পারেননি। আর্থিক ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে গত মঙ্গলবার তিনি বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুতাসিমুল ইসলামকে জানান। নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি সরজমিনে দেখতে অ্যাসিল্যান্ড কাজী মহুয়া মমতাজকে নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, মঙ্গলবারই বিকালে ক্ষতিগ্রস্ত চাষি আলী আকবরের ক্ষেত সরজমিনে গেলে অভিযোগের সাথে বাস্তবতার শতভাগ মিল পাওয়া যায়। তার দুটি প্লটে একটিতেও শীষ আসা ধানে চাউল আসেনি। তিনি বলেন, আমার মত এ ধানের আবাদ করে দলপা, আশুজিয়া ও বলাইশিমুল ইউনিয়নের চাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত চাষি আলী আকবর জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাকে মৌখিকভাবে ক্ষতিপূরণ দানের কথা বললে তিনি তাকে বলেছেন, আমি আমার ক্ষতিগ্রস্ত হবার বিষয়টি জেলা কৃষি বিভাগ ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানাতে চাই। কি হতে কোথায় সমস্যা হয়েছে জানতে গিয়ে যদি আরো কোন ক্ষতির সম্মুখীন হই তাতেও আমার আপত্তি নেই। বিনা-৮ জাতের ধান চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হবার বিষয়ে উপ-সহাকারী কৃষি কর্মকর্তা পুরোপুরি অবগত থাকলেও জমি পরিদর্শনে স্থানীয় কৃষি অফিসকে কাছে না পাওয়ার বিষয়টি তাকে আরো ব্যথিত করেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, প্রশিক্ষণে বলা হয়েছিল, বিনা-৮ স্থানীয় ২৮ জাতের ১০-১৫ দিন আগে কাটা যায়। বাস্তবে এরও কোন মিল পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ