বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : ব্যবসায়ী ছাদেক আলী খন্দকার হত্যা মামলার অন্যতম আসামী বিলু বাহিনীর প্রধান বিল্লাল হোসেনের ছোট ছেলে রনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুইমাসেরও বেশি সময় পলাতক থাকার পর সুনামগঞ্জ দোহারাবাজার থানা পুলিশের হাতে আটক হয় রনি। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় কুমিল্লা কোতয়ালী পুলিশ সুনামগঞ্জ থেকে রনিকে নিয়ে কুমিল্লায় পৌঁছে। এখবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে বিলু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড রনিকে দেখার জন্য কোতয়ালী থানার সামনে উৎসুক লোকজনের ভিড় জমে।
কুমিল্লা শহরতলীর চানপুর গ্রামের ত্রাস বিল্লাল হোসেনের গড়া বিলু বাহিনীর নীরব চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাÐে অতিষ্ঠ ছিল চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। বিলু বাহিনীর প্রধান বিল্লালের রাজনৈতিক লেবাস পাল্টানোর প্রভাবে তার দুই ছেলে রিজন ও রনি গোটা চানপুরে গড়ে তোলে ত্রাসের রাজত্ব। রিজন ও রনির বিরুদ্ধে থানায় অনেক অভিযোগ। বিল্লালের নামেও কমবেশি অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এলাকার লোকজন ভয়ে কোন সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে এগিয়ে আসতো বলেই থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিতে পারতো না। এছাড়াও রাজনৈতিক প্রভাব তো খাটাতোই। গত ৯ ফেব্রæয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা শহরতলীর চাঁনপুর পশ্চিমপাড়ার বৌবাজার রোডের কেরানী বাড়ির কাছে চাঁদার দাবীতে স্থানীয় ত্রাস বিল্লালের নেতৃত্বে তার দুই ছেলে রিজন ও রনিসহ অন্যরা মিলে ঢাকার ব্যবসায়ী ছাদেক আলীকে খুন করে। নিহত ছাদেক আলী (৫৫) কুমিল্লা শহরতলীর চাঁন্দপুর দক্ষিণপাড়ার মৃত মর্তুজ আলীর ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকা মিরপুরের ১০ নম্বর সেকশনে থাকতেন। ঘটনার খুনের ঘটনায় নিহত ছাদেক আলীর স্ত্রী ফাহমিদা রহমান মায়া বাদী হয়ে বিল্লাল ও তার দুই ছেলে রিজন, রনিসহ সাতজনকে আসামী করে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় মামলা করেন।
ঘটনার দিন বিল্লালকে পুলিশ আটক করলেও তার দুই ছেলে বিলু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড রিজন ও রনি পালিয়ে যায়। কোতয়ালী পুলিশ মামলার পলাতক অন্যতম দুই আসামী রিজন ও রনিকে ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে সোর্স নিয়োগ করে। সোর্সের তথ্যমতে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) সালাউদ্দিন জানতে পারেন বিলু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড রনি সুনামগঞ্জে অবস্থান করছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি সুনামগঞ্জের দোহারা থানায় রনি ও রিজন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রেরণ করেন। ব্যাস, গত বুধবার সুনামগঞ্জ দোহারা থানার পুলিশ ওই থানাধীন পূর্ব-বাংলা বাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে মিনু নামের এক মহিলাসহ রনিকে গ্রেফতার করে বিষয়টি কুমিল্লা কোতয়ালী থানাকে অবহিত করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি সালাউদ্দিন জানান, ‘রনিকে আটকের পর বুধবার সুনামগঞ্জের দোহারা থানার উদ্দেশ্যে কুমিল্লা থেকে রওয়ানা হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে রনিকে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় এনে হাজতে রাখা হয়। তার সাথে এক মহিলা রয়েছে। রনি সুনামগঞ্জের দোহারা থানার পূর্ব-বাংলা বাজার এলাকায় খোকা নামে নিজের পরিচয় দিয়ে ওই মহিলাকে নিয়ে একটি বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল। শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। তার ভাই রিজনসহ অন্য আসামীদের অবস্থান জানার জন্য রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।