Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিনাজপুরের কাহারোলে মেলার মতো করে প্যান্ডেল সাজিয়ে রাতভর চলছে জুয়া খেলা

| প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম


আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় এসপি’র চিঠি
মাহফুজুল হক আনার, দিনাজপুরের কাহারোল থেকে : গ্রামের আলু ক্ষেতকে নষ্ট করে টিন দিয়ে বিশাল এলাকা ঘিরে প্যান্ডেল সাজিয়ে জুয়া খেলা চলছে। ডাবু খেলা, পিন খেলা, সাবান লটারি, খাম খেলাম, বস লটারি, শিট খেলাসহ বিভিন্ন ধরনের খেলা চলছে সারা রাত ধরে। নগদ টাকা লাভের আশায় গ্রামের যুবক থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ছুটছে জুয়া খেলার দিকে। রমরমা এই খেলার বিরুদ্ধে অভিভাবকসহ সচেতন যুবসমাজের চরম বিক্ষুব্ধ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এই জুয়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। কারণ জুয়ার আয়োজক নামসর্বস্ব একটি স্পোর্টিং ক্লাব মহামান্য হাইকোর্টে ক্লাবের উন্নয়নের লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণভাবে (ইনডোর) এক মাসের খেলাগুলো চালানোর অনুমতি নিয়ে এসেছে। এর আগে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বীরগঞ্জে প্রায় একই ধরনের একটি অনুমতির ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের ব্যক্তি উদ্যোগে রিট করা হলে সেই অনুমতিকে স্থগিত করে আদালত। এর পরপরই হাফিজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি রেনেসা স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে অনুমতি নিয়ে আসে। হাইকোর্টের অনুমতি পেয়েই ক্লাবটি প্রতিদিন ২ হাজার টাকার বিনিময়ে রেজাউল হক এর কাছে ইজারা দেয়। মরণ খেলা হিসেবে পরিচিত এই জুয়া খেলার ব্যাপারে সাধারণ মানুষ ফুসে উঠলেও আদালতের অনুমতির কারণে কিছু করছে না জানিয়েছে স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা। জেলা পুলিশ সুপার গতকালই জুয়া খেলাকে কেন্দ্র আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে পত্র দিয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় বিক্রি কাছ থেকে ইত্যাদি ধরনের বড় বড় জুয়া খেলা চালানোকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের দুটি উপজেলায় ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে মুক্তিযোদ্ধা জনতা’র প্রতিবাদের মুখে বীরগঞ্জ উপজেলায় এই জুয়ার আসর বন্ধ হয়ে যায়। গত বুধবার থেকে কাহারোল উপজেলায় টিনের ঘেরা দিয়ে প্যান্ডেল করে জুয়ার আসর বসানোর পর থেকেই শুরু হয়েছে উত্তেজনা।
এদিকে জুয়া খেলার আয়োজনের সাথে সাথেই এলাকার সচেতন মানুষেরা খেলা বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। কাহারোল উপজেলার ৩ নং ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি পুনে চন্দ্র রায় জানান, এই খেলা আমাদের ও আমাদের আশপাশের এলাকাকে ধ্বংস করে দিবে। সরকার এ ধরনের সমাজবিরোধী কোনো কর্মকাÐকে বিশ্বাস করে না।
বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কেউ কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হামিদুল হক জানান, আইন-শৃঙ্খলা’র অবনতি হতে পারে মর্মে গত বুধবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে পত্র দেয়া হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ