বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ পিটিআই’র সুপার আতিয়ার রহমানকে দুর্নীতির দায়ে বাগেরহাটে বদলী করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার সুপারকে ঝিনাইদহে পদয়ন করা হয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে মাত্র এক বছরের মাথায় সুপার আতিয়ারকে চলে যেতে হচ্ছে। এ সংক্রান্ত বদলীর আদেশ গত ১৭ এপ্রিল তিনি হাতে পেয়েছেন। তবে তিনি বদলীর আদেশ বাতিলের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। যত টাকাই লাগুক ঝিনাইদহে থাকতে হবে এমন সংকল্প নিয়ে তিনি ঝিনাইদহের এমপিদের ডিও লেটার সংগ্রহ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বুধবার বিকালে সুপার আতিয়ার রহমানের পক্ষে ২৪০ জন ডিপিইএড শিক্ষকদের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর আদায় করা হরয়েছে। তিনি যে একজন ‘ভাল মানুষ’ এই কথা লিখে হয়তো কাগজটি কাজে লাগানো হতে পারে। এদিকে শেষমেষ ঝিনাইদহ ছাড়তে হলে তার একটা ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যাবে। সেটি হলোÑ তিনি ঝিনাইদহ পিটিআইকে দেশ সেরা করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য এহেন কোন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের তিনি দাওয়াত করে আনেননি পিটিআই ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে তিনি এ সব কাজ করতেন। টাকা দিতে দিতে হাফিয়ে উঠেছে পিটিআইতে প্রশিক্ষণ নিতে আসা ২৪০ জন প্রাইমারীর শিক্ষক। প্রতি মাসে তাদের কাছ থেকে সংস্থাপন চার্জ হিসেবে জোরপূর্বক ৭২ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। এই টাকা নেয়ার কোন সরকারী নিয়ম না থাকলেও প্রতিমাসেই তিনি তুলে যাচ্ছেন। রিসোর্স পার্সোন জগদিস বাবু ও মহিলা হোস্টেল থেকে এক ইন্সট্রাক্টর এই টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু এই টাকা কোথায় যায় কেউ জানে না। পিটিআইর বিভিন্ন ভবন বিবাহিত শিক্ষকদের কাছে ভাড়া দেয়া হয়েছে বলে কথিত আছে। এই টাকাও পকেটস্থ করা হচ্ছে। মহিলা ও পুরুষ হোস্টেলের থালা, বাটি, ঘটি, রুমের বাল্বসহ সব কিছ্ ুকিনতে হয় প্রশিক্ষকের আসা শিক্ষককদের। তাহলে সংস্থাপন চার্জের টাকা কোথায় যায়? এছাড়া ঝিনাইদহ পিটিআই’র ভবন ও বাথরুমগুলো বেহালদশা হয়ে আছে। এ সব বিষয়ে কে বা কারা একটি বেনামী অভিযোগ গণশিক্ষা মন্ত্রী ও ডিজির কাছে পাঠায়। সেই সূত্র ধরে একটি গোপন তদন্ত সম্পন্ন হয়। তদন্তে সুপারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।