রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে : নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে না শেখ হাসিনা সেতুর কাজ। মাগুরার মহম্মদপুরে মধুমতী নদীতে প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ এ বছরের মে মাসের ১৭ তারিখের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সেতুর সংযোগ সড়কের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের অর্থ ছাড়ের জটিলতার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের কাজ করতে পারছে না বলে জানা গেছে। জেলার মহম্মদপুরে মধুমতী নদীর এলাংখালি ঘাটে নৌযানের মাধ্যমে মাগুরা, ফরিদপুর ও নড়াইল জেলার মানুষ পারাপার হতো। যে কারণেই নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের। মাগুরাসহ এ অঞ্চলের মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর মধুমতী নদী তীরে বাঁশতলা ঘাটে সেতু নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি যে সেতুটির নির্মাণ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় ম্যাক্স রেনকিং নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ৬০০ দশমিক ৭০ মিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ কাজের ৮৫ শতাংশ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে একটি স্প্যান ও সংযোগ সড়কের কাজ। আর সেতুটির নতুন এই সংযোগ সড়কটি নির্মাণের জন্য মধুমতী নদীর পূর্বপাড়ে চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের প্রায় তিন একর আবাদি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেতুটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ইন্দ্রজিত পাল বলেন, এ বছরের মে মাসের ১৭ তারিখের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা। ইতোমধ্যে পুরো কাজের ৮৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণ শেষ করা সম্ভব হলেও স্থানীয় গ্রামবাসীদের অসহযোগিতার কারণে সংযোগ সড়ক তৈরির কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের পরও আরো দুয়েক মাস বেশি লেগে যেতে পারে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে গ্রামবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায় ভিন্ন তথ্য। তাদের অভিযোগ আড়াই বছর আগে জমি অধিগ্রহণ ও সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হলেও এতদিনেও তারা তাদের অধিগ্রহণকৃত জমির টাকা পায়নি। উপরোন্তু প্রতিনিয়তই তারা নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলে তারা জানান। মধুমতী নদীর পূর্বপাড়ের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের ভুক্তভোগী জমি মালিকদের একজন ইজাহার শেখ। তিনি জানান, একেকদিন গ্রাম থেকে মাগুরায় যেতে আসতে প্রায় ৩শ টাকা খরচ হয়ে যায়। এভাবে আড়াই বছর ধরে ডিসি অফিসে ঘুরছি। কতবার গেছি তার হিসাবে নেই। এই কাগজ ওই কাগজ যত রকম কাগজ ডিসি অফিস থেকে চেয়েছে তার সবগুলোই জমা দিয়েছি। তারপরও তাদের যাচাইবাছাইও শেষ হচ্ছে না- টাকাও দিচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।