Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কলারোয়ায় ছাত্রকে পেটানোর অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আটক

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৭, ৫:৩৭ পিএম

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ছাত্রকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনছার আলীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার চন্দনপুর হাইস্কুল সংলগ্ন গয়ড়া বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, গত শনিবার ১০ম শ্রেণির ছাত্র আশিকুজ্জামান দেরিতে স্কুলে যাওয়ায় বেধড়ক বেত্রাঘাত করেন প্রধান শিক্ষক আনছার আলী। পরে ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।

আশিকুজ্জামান চন্দনপুর ইউনিয়নের রামভদ্রপুর গ্রামের আশরাফুজ্জামানের ছেলে। ঘটনার পরদিন রোববার কলারোয়া প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন, আশিকুজ্জামানের অভিভাবক (তার খালা) সাজেদা খাতুন। এর একদিন পর সোমবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন, প্রধান শিক্ষক আনছার আলী।

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেব নাথ জানান, এ ঘটনায় ছাত্রের খালা সাজেদা খাতুন বাদী হয়ে গত ১৭এপ্রিল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৩৮(৪)১৭।

বুধবার দুপুরে থানার এসআই মফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চন্দনপুর হাইস্কুল সংলগ্ন গয়ড়া বাজার এলাকা থেকে প্রধান শিক্ষক আনছার আলীকে আটক করে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১০:৪০ পিএম says : 0
    দেরিতে স্কুলে আসার জন্য বেধড়ক বেত্রাঘাতে ছাত্র অসুস্থ হলে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে এতে প্রতীয়মান যে ছাত্রকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। অভিভাবক থানায় কিংবা শিক্ষা দপ্তরে নালিশ না করে সড়াসড়ি সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার পরদিন। আবার প্রধান শিক্ষক প্রতিবাদ করে এরপরদিন সংবাদ সম্মেলন করে নির্দোষ দাবী করে। কিন্তু ব্যাতিক্রম এই যে, এখানে সাংবাদিক অথবা শিক্ষক একটা বিষয় আনেননি সেটা হচ্ছে ঘটনাটা কি সঠিক কিনা এবং যদি সঠিক হয় তাহলে কে বেত্রাঘাত করেছে??? এর কোন সুরাহা এখানে নেই তাহলে এখন বিষয়টা কি...... এটা জানা গেল না। আমি এখানে একটা কথা বলতে চাই সেটা হচ্ছে আমি আমার ছাত্র জীবন থেকে দেখে এসেছি এই বেত্রাঘাতের ঘটনা। এটা কোন ভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়। শিক্ষা দেয়ার পদ্ধতী পাল্টাতে হবে; বিদেশে আমি দেখেছি বাচ্চাদের গায়ে হাত তোলা যায়না এমনকি পিতা মাতাও হাত তুলতে পারেন না। এটাই উন্নত দেশের আইন। আমাদের দেশে এই বাচ্চা পেটানো বাড়ি থেকে শুরু করে স্কুল পর্যন্ত চলছে। এটা মানবিক আইনের বিরুধি কিন্তু আমাদের দেশের মানবিক কর্মীরা এদিকে কোন নজরই দেননা। যাইহোক আমি বিষয়টা দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রীর নজরে আনছি; যদিও বিষয়টা ওনার কাছে নতুন নয় তারপরও আমি ওনাকে এদিকে কঠিন ভাবে দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি চাই আজকের ছাত্ররা নির্ভিক সাহসী ও স্বাধীনচেতা নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠুক। বেত্রাঘাত খাওয়া ছেলেরা হয় দূর্দান্ত দুষ্ট প্রকৃতির বা ভীত প্রকৃতির হিসাবে সামজে চিহ্নিত হয়। এদের কোনটাই দেশের জন্য মঙ্গল জনক নয় আমি মনে করি। তাই ছাত্র পেটানো বন্ধ করতে হবে যে কোন উপায়ে। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে সঠিক শিক্ষা দান করুন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ