পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলাম মূর্তিবিরোধী ধর্ম। মূর্তি থাকলে মূর্তি মানলে ইসলাম থাকেনা, ইসলামে ন্যায়ের প্রতীক পবিত্র কুরআন। কুরআনে ন্যায় বিচারের সমাধান দেয়া আছে। ইসলাম গ্রিক দেবী মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক মানতে পারে না।
এরূপ মানলে মুসলমানদের ঈমান তথা মুসলমানিত্ব থাকবে না। তাই সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মূর্তি ঢেকে দেয়া নয় অপসারণ করতে হবে। এ বিষয়ে মুসলমানের ঈমানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে গ্রিক দেবী মূর্তি অপসারণের ব্যবস্থা নিতে হবে। গ্রিক দেবী মূর্তি অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন বন্ধ হবে না। কর্মসূচি কঠিন থেকে কঠিন হবে।
ইসলামী ঐক্যজোট
ইসলামী ঐকব্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেছেন, মূর্তি ঢেকে দেয়া নয়, মূর্তি অপসারণ করতে হবে। অপসারণের ক্ষেত্রে অনমনীয় মনোভাব পোষণ করলে দেশ ক্রমশঃ দ্ব›দ্ব-কলহ, ঝগড়া-বিবাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, গোলমাল-হানাহানি, সংঘর্ষ ও সঙ্ঘাতের অনলে নিক্ষিপ্ত হবে। তাই ইসলামের আক্বীদা ও বিশ্বাসকে সামনে রেখে মূর্তি অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠার আগেই এ সমস্যা সমাধানে সরকারের দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখা উচিত। তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহŸান জানান।
মাওলানা নেজামী বলেন, এদেশের আবেগ উদ্দীপ্ত তৌহিদবাদী জনগণ ঈমান রক্ষার আন্দোলনে লিপ্ত। তাছাড়া মূর্তি স্থাপনের কারণে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ও মানবেতিহাসের কালোত্তীর্ণ সর্বজনবিদিত অনুকরণ ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব রাসুলের (সা.) আদর্শবাদিতার উপর নাস্তিক্যতা ও পৌত্তলিকতার গভীর আঘাত করা হয়েছে। সুতরাং কারো প্ররোচনায় ও চোখ রাঙানো নয়, বিশ্বাসের তাগিদেই মূর্তি অপসারণ করতে হবে। আর এ অপসারণের দাবিতেই এদেশের ইসলামপ্রিয় জনতা আন্দোলনে সোচ্চার।
তিনি বলেন, মূর্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর অনৈসলামী চিন্তা-চেতনা পোষণকারীদের ব্যাপক প্রভাব খাটাচ্ছে। আর এ কারণেই গণদাবি সত্তে¡ও এখনো মূর্তি অপসারণ করা হয়নি। দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা এবং হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্যই এরা ষড়যন্ত্র করছে। অথচ ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত সম্বলিত যে কোনো কাজ জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তিনি বলেন, দেশে বলবৎ আইনেও এ ধরনের কাজ নিষিদ্ধ। তিনি বলেন, বজ্রকঠিন মনোবল, ইস্পাত কঠিন সংগ্রামী চেতনায় জনগণ প্রমাণ করতে প্রস্তুত, মূর্তি অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দালনের উত্তাল তরঙ্গ প্রশমিত হবে না। আন্দোলন কঠিন থেকে কঠিনতর হবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মহানগর
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি শাইখুল হাদিস মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন গত ১১ই এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল- “এই মূর্তি এই স্থানে আমিও পছন্দ করতে পারছিনা। আমি ইতোমধ্যে প্রধান বিচারপতিকে এব্যাপারে ম্যাসেজ দিয়ে দিয়েছি। অচিরেই তাঁর সাথে আমি বসবো এবং কথা বলবো। আপনারা আমার প্রতি আস্থা রাখুন। আমি এই মূর্তি ওখান থেকে সরানোর জন্য যা যা করা দরকার তা তা করবো” এখন যদি আবার সরানোর পরিবর্তে ঢেকে দেয়ার কোন সিদ্ধান্ত বা পরামর্শ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আসে তাহলে এতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা পুনরায় হতাশ হবেন। প্রধানমন্ত্রীর ১১ই এপ্রিলের বক্তব্য শুনে তারা যে আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন তা হতাশায় পরিণত হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মূর্তি আর ভাষ্কর্য যাই বলি না কেন কোন অবস্থাতেই গ্রিক দেবী মূর্তি থেমিসের এই প্রতিচ্ছবি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে থাকতে পারে না। কারণ এটা ঈমান-আক্বীদার বিষয়। এখানে কোন রকম ক¤েপ্রামাইজের অবকাশ নেই। সুতরাং অপসারণছাড়া ঢেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এদেশের তৌহিদী জনতা মানবে না বরং এতে করে তাদেরকে নতুন করে আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।