রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঈশ্বরদীতে সাদিয়া খাতুন (৩৩) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী শরিফুল ইসলাম। সোমবার রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিজ বাড়ি থেকে স্বামী শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত সাদিয়া খাতুন ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর মাড়মি গ্রামের সাবেদ আলী সরদারের মেয়ে। সাদিয়ার দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সাদিয়ার বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছিল জামাই শরিফুল ইসলাম। সাদিয়ার বাবা সাবেদ আলী সরদার ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, চার বছর আগে মানিকনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলামের সঙ্গে সাদিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শরিফুল যৌতুকের দাবিতে সাদিয়াকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। ঘটনার দিন সোমবার সন্ধ্যায় যৌতুকের দাবিতে শ্বশুর-শাশুড়ির সহযোগিতায় শরিফুল বেধড়ক পিটিয়ে সাদিয়াকে জখম করে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাদিয়ার লাশ ঘরে ঝুলিয়ে রাখে। স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন শরিফুলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। ঈশ্বরদী থানার ওসি আব্দুল হাই তালুকদার জানান, সাদিয়াকে হত্যার অভিযোগে বাবা সাবেদ আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় শরিফুল ইসলাম, শ্বশুর মোহাম্মাদ আলী ও শাশুড়ি মিনা খাতুনকে আসামি করা হয়েছে। সাদিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা শরিফুলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। সাবেদ আলীর করা মামলায় শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তবে শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক রয়েছে। ওসি আবদুল হাই তালুকদার আরও জানান, গৃহবধূ সাদিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।