পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : খেলাপি ঋণভারে জর্জরিত সরকারি-বেসরকারি খাতের ২০টি ব্যাংককে ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। ঋণ আদায়ে সন্তোষজনক অগ্রগতি না দেখাতে পারা সোমবার ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীকে ডেকে এসব কথা জানিয়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ব্যাংকগুলো হলোÑ রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা, রূপালী, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ছাড়াও রয়েছে বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়া, এবি ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, ওরি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক ও ব্যাংক অব সিলন।
ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এবং অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের কর্মকর্তারা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর ত্রৈমাসিক ঋণ আদায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোর পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করে ঋণ আদায়ে দ্রæত উন্নতি করতে প্রধান নির্বাহীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় ব্যাংক কোম্পানি আইন মোতাবেক ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৈঠক শেষে এস কে সুর চৌধুরী বলেন, ব্যাংকগুলো যাতে হুমকির মধ্যে না পড়ে সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ব্যাংকগুলোর শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছে, যেসব ব্যাংক ঋণে জর্জরিত তাদের কঠোর হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। কারণ ঋণে জর্জরিত হয়ে ব্যাংকগুলোর ক্যাপিটাল লস বা মূলধন ঘাটতি হতে পারে। এতে ব্যাসেল ৩ বাস্তবায়ন থেকে পিছিয়ে পড়বে ব্যাংকগুলো। তাছাড়া তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হবে।
ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোকে কয়েকটি বিষয়ে নজরদারি করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে যেসব ব্যাংক ঋণ আদায়ের সক্ষমতায় পিছিয়ে তাদের ঋণ আদায় ইউনিট জোরদার করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া যেসব ঋণের বিপরীতে মামলা অব্যাহত আছে সেগুলোর জন্য অর্থ ঋণ আদালতের অভিজ্ঞ আইনজীবী দ্বারা মামলাগুলো পরিচালনা করতে হবে। পাশাপাশি ঋণ আদায়ে মাঠ পর্যায়ে ও ব্রাঞ্চ পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও প্রত্যেক কর্মকর্তাকে এ লক্ষ্যমাত্রার আওতায় আনতে হবে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকারী কর্মকর্তাকে ইনসেনটিভ বা পুরস্কৃত করার বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অন্যদিকে প্রতি তিন মাস পর ব্যাংকগুলোর ঋণ আদায় অগ্রগতি প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। এর মধ্যে শ্রেণিকৃত ঋণ বা খেলাপি ঋণ, আদায়কৃত ঋণ, ঋণ অবলোপন বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আরো জানা গেছে, ঋণ আদায়ের অগ্রগতি প্রতিবেদন বোর্ডসভায় নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বোর্ড সেগুলো মিটিংয়ে আলোচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাবে বলেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে বৈঠকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।