Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সুন্দরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি

| প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ের ছোবলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি ও দোকানপাটসহ গাছপালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের। পড়ে গেছে আমের মুকুল। খুঁটি ভেঙে পড়াসহ তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। বাদশা মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে। আহত বাদশা মিয়া বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের পাইটকাপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। শনিবার বিকেলে আকাশ ঘনকালো আচ্ছন্ন হতে শুরু করে। ধিরে ধিরে রাতের অন্ধকারের মতো নিমজ্জিত হয় চারপাশ। এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় প্রচÐ বেগে বাতাস ও বৃষ্টি। ঘণ্টা খানেক সময় ধরে বয়ে চলা কাল বৈশাখীর ছোবলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, দোকানপাট, গাছপালা, ফসল ও আমের মুকুলের। রোববার সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও পৌর শহর এলাকার সব কিছুতেই কালবৈশাখীর ছোবল। তবে সব চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বামনডাঙ্গা, হরিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নে। খামার মনিরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানের ঘরের চাল ভেঙ্গে চুরমার হয়ে অন্য জায়গায় চলে গেছে বলে জানান। বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের খামার মনিরাম গ্রামের ওয়ারেছ আলির ছেলে রফিকুল জানান, ঘরের চাল অন্যত্র চলে যাওয়ায় বৃদ্ধ বাবাসহ পরিবারকে নিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে রাত্রি যাপন করেছি। এই ইউনিয়নের ফলগাছা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ভুট্টা চাষি সুমন সরকার বলেন, ধারে ৩ একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলাম, সব শেষ। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আইয়ুব সরকার বলেন, তার এলাকায় ২ মন্দিরসহ ১৫/২০টি বাড়িঘর লÐভÐ হয়েছে। ধান চাষি মাইদুল জানান, যে টুকু ধান আবাদ করেছিল তার সবটুকুই এখন মাটিতে পড়ে আছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম সরকার জিমি জানান, তার ইউনিয়নের চরাঞ্চলে অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছেন। বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নজমুল হুদা বলেন, অনেক বেশি ক্ষতি হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ এখনো সঠিক নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে কাজ চলছে। কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল সরকার তার ইউনিয়নে প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি লÐভÐ হয়েছে বলে জানান। রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (সুন্দরগঞ্জ) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী সোলায়মান হোসেন এ পর্যন্ত ২২ খুঁটি ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অসংখ্য তার ছিড়ে যাওয়ায় পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে আরোও প্রায় ৫/৬ দিন সময় লাগবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, ৫৮৬ হেক্টর ধান, ২২ হেক্টর ভুট্টা, ৩০০ বাড়িঘর ও ১ হাজার ৩০০ গাছের ক্ষতি হয়েছে। তবে আরোও বাড়তে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস.এম. গোলাম কিবরিয়া ৬০০ পরিবারের ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, জরিপ চলছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থদের তালিকা করে ত্রাণের ব্যাবস্থা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ