Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোমরা বন্দর থেকে ৮ মাসে সাড়ে ২৪ হাজার টন শুকনো মরিচ আমদানি

| প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে : শুকনো মরিচ আমদানি বেড়েছে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে। গেল অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের তুলনায় চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের গত ৮ মাসে অন্তত ৪০ শতাংশ আমদানি বেড়েছে শুকনো মরিচ। দেশের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভোমরা বন্দর দিয়ে এ মসলাজাত পণ্যটি আমদানি করে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অন্যান্য এলাকাতে সরবরাহ করছে। ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে এ বন্দর দিয়ে শুকনো মরিচ আমদানি হয়েছে ২৪ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন। এরমধ্যে গেল জুলাই মাসে ১ হাজার ৫৬৯ টন, আগস্টে ২ হাজার ৯৬০ টন, সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৭৯২ টন, আগস্টে ২ হাজার ৬৬০ টন, নভেম্বরে ৩ হাজার ১১১ টন, ডিসেম্বরে ৩ হাজার ১৩১ টন, জানুয়ারিতে ৫ হাজার ৩০৫ টন এবং ফেব্রæয়ারিতে ৩ হাজার ৮১২ টন। আমদানিকৃত এই পরিমাণ শুকনো মরিচ থেকে রাজস্ব অর্জন হয়েছে ৩২ কোটি ৫৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৬৮ টাকা। সূত্রটি আরো জানায়, গেল অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুকনো মরিচ আমদানি হয়েছে ১৬ হাজার ৪০৯ মেট্রিক টন। সে হিসাবে চলতি বছর ভোমরা বন্দর দিয়ে শুকনো মরিচ আমদানি বেড়েছে অন্তত ৪০ শতাংশ। ভোমরা বন্দরের শুকনো মরিচ আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আবু হাসান বলেন, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে তার প্রতিষ্ঠানে শুকনো মরিচ আমদানি অনেকাংশে বেড়েছিল। কিন্ত সম্প্রতি শুকনো মরিচের উপর সরকার অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করায় ব্যবসায়ীরা আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, প্রতি টন শুকনো মরিচ আমদানিতে সরকারের শুল্ক নেয়া হতো ১ হাজার ৩০০ ডলার। সেখানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০০ ডলার। ফলে ব্যবসায়ীরা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে এই মসলাজাত পণ্যটি আমদানি। তাছাড়া বাজারেও দেশীয় শুকনো মরিচ উঠা শুরু হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা শহরের সচচেয়ে বৃহৎ মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি মসলা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাবিব ভাÐারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আজিজ জানান, সাতক্ষীরা জেলাতে যে পরিমাণ শুকনো মরিচের চাহিদা রয়েছে তার ৮০ শতাংশই মেটাতে হয় ভারত থেকে আমদানিকৃত শুকনো মরিচ দিয়ে। তাছাড়া সম্প্রতি শুকনো মরিচের দামও বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, গেল ১ মাসের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে মণপ্রতি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। বর্তমান যে শুকনো মরিচ কেজিপ্রতি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে তা এক মাস আগেও ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ভোমরা বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি কাজি দিলওয়ার নওশাদ রাজু জানান, অন্যান্য বন্দরের তুলনায় ভোমরাবন্দর দিয়ে শুকনো মরিচসহ পেঁয়াজ ও আদা-রসুন বেশি আমদানি হয়ে থাকে। কারণ হিসাবে তিনি আরো বলেন, ভোমরা থেকে কলকাতার দূরত্ব কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এ বন্দর ব্যবহার করলে তাদের যেমনি পরিবহন খরচ কম লাগে তেমনি সময়ও সাশ্রয় হয়। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার মো. আবদুল কাইয়ুম জানান, মসলাজাত পণ্য হিসেবে শুকনো মরিচ আমদানিতে সরকারের রাজস্ব খুবই ভালো আসে। তাছাড়া অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছর এ পণ্যটি আমদানি খুবই বেড়েছে বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ