পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বেনাপোল অফিস : বেনাপোল স্থলবন্দরের ২২ নং শেড থেকে তালা ভেঙে আমদানিকৃত পণ্য চুরির ঘটনায় শেড ইনচার্জ ও নিরাপত্তা সংস্থা আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা পরস্পরে দোষারোপ শুরু হয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হচ্ছে। ফলে মোটা অঙ্কের লোকসানের কবলে পড়ছেন আমদানিকারক।
বন্দর অভ্যন্তরে রহস্যজনক এই চুরির ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এমন কি চুরি যাওয়া আমদানি পণ্যের পরিমাণও নির্ধারণ করা হয়নি। এতে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বন্দরে চুরি যাওয়া ২২ নম্বর পণ্য গুদামের শেড ইনচার্জ রফিক জানান, গত বুধবার (১২ এপ্রিল) রাতে পণ্যাগারের ডিউটি শেষে তিনি ও বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা যৌথভাবে গেটে তালা লাগিয়ে সিলগালা করেন। রাতে পাহারায় ছিল আনসার সদস্য। পরের দিন (১৩ এপ্রিল) সকালে তিনি ও আনসার সদস্য উভয়ে আবার পণ্যাগারের সিলগালা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখেন মালামাল লন্ডভন্ড। পেছনের একটি গেইটের তালা ভাঙা। এ চুরিতে নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্যের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন শেড ইনচার্জ। লিখিতভাবে বিষয়টি বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বন্দরের নিরাপত্তার দায়িতে নিয়োজিত আনসার ব্যাটালিয়নের প্রধান (পিসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ চুরিতে স্টোরকিপারের হাত রয়েছে। তারা মালামাল আগে থেকে বের করে নিয়ে এখন নাটক সাজাচ্ছে। ওই পণ্যাগারের তালা ভাঙা হয়নি, সেটা আগে থেকে খুলে রাখা হয়েছিল। চুরির ঘটনায় আনসারের কোনো সদস্য জড়িত নয়। বিষয়টি নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ করা হযেছে। সঠিকভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত হলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বন্দর থেকে বারবার চুরির ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি নেই। চুরি প্রতিরোধে বন্দর কর্তৃপক্ষকে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের অনুরোধ জানানো হলেও এ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। বন্দরে হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্য থাকলেও রহস্যজনক কারণে বন্দর কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরা লাগাতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম চুরির ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা চুরির ঘটনা ও চুরি যাওয়া পণ্যের হিসাব নির্ধারণ করবে। এ ক্ষেত্রে কারো বিরুদ্ধে চুরির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।