পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাচারকারী চক্রের গডফাদার মোজাহের গ্রেফতার
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বঙ্গোপসাগরে একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ২০ লাখ পিস ইয়াবার বিশাল চালান আটক করেছে র্যাব। পাকড়াও করা হয়েছে ইয়াবা পাচারকারী সিন্ডিকেটের গডফাদার মোজাহেরসহ নয়জনকে। গতকাল (রোববার) ভোরে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালায় র্যাবের একটি চৌকস দল। এটি এ যাবৎকালের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইয়াবার চালান। এর আগে গত বছরের ১৭ জানুয়ারি একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ২৭ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছিল র্যাব। সা¤প্রতিক সময়ে উদ্ধার হওয়া চালানের মধ্যে সেইটি ছিল সবচেয়ে বড়। এ নিয়ে গত ১৪ মাসে শুধুমাত্র র্যাবের অভিযানেই ধরা পড়েছে সোয়া কোটির বেশি ইয়াবা ট্যাবলেট।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মিমতানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে ওই মাছ ধরার ট্রলাটি আটক করা হয়। র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন অভিযানের নেতৃত্ব দেন। মিমতানুর বলেন, আটক ৯জনের মধ্যে মোজাহের নামের একজন রয়েছেন, যিনি আনোয়ারা-গহিরা এলাকার ইয়াবা চোরাচালান চক্রের প্রধান। উদ্ধার অভিযানের ব্যাপারে রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত র্যাবের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র মাছের ব্যবসার আড়ালে ট্রলারে করে ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রামের উপক‚লে আসে। এরপর এসব চালান নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এর আগে ২০১৫ সালের ফেব্রæয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে একটি ট্রলার থেকে ১৫ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে নৌবাহিনী। কোস্টগার্ডের হাতেও বিভিন্ন সময়ে ইয়াবার বড় বড় চালান ধরা পড়েছে সমুদ্রপথে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকার পথে বিভিন্নস্থানে ধরা পড়েছে ইয়াবার বেশ কয়েকটি বড় চালান।
মিয়ানমারের সীমান্তে ছোট-বড় অর্ধশতাধিক ইয়াবার কারখানায় উৎপাদিত মাদকের চালান ঠেলে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক অভিযানের পরও ইয়াবার আগ্রাসন ঠেকানো যাচ্ছে না। বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল চট্টগ্রাম জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় বলেন, সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা আসা বন্ধে মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলে কোনো ‘সুফল পাওয়া যাচ্ছে না’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।