Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের বাধা দেয়ায় স্বজনদের মারধর

| প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ঈশ্বরগঞ্জে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর পথরোধ করে উত্ত্যক্ত করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাধা দিতে গেলে ছাত্রীর এক স্বজনের মাথা ফাটানো ও আরেক জনকে বেদম মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার সকাল ১১টায় উচাখিলা বাজার এলাকায় ওই ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, উপজেলা উচাখিলা ইউনিয়নের উচাখিলা স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী পাপিয়া (১৫)। একই ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামের পাকা কবরস্থান এলাকায় ওই ছাত্রী উত্ত্যক্তের শিকার হয়। প্রতিদিন সে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করলেও কখনও সে এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি। বিদ্যালয়ে আয়োজতি নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষ করে গত শুক্রবার দুপুরে বাড়ি ফিরছিল। এময় ছয়-সাত জন বহিরাগত ছেলে মুঠোফোনের ক্যামেরা দিয়ে তার ও তার বান্ধবীদের ছবি তুলতে শুরু করে। এ সময় সে বাধা দিলে তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। পরে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কাছে বিচার দেবে বলে জানালে ছেলেগুলো চলে যায়। পরে ছোটবোনকে নিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে উচাখিলা-ল²ীগঞ্জ সড়ক দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। ঈশ্বরপুর গ্রামের একটি পাকা কবরস্থানের কাছে পৌঁছানোর পর জাকির (২৪) নামে একটি ছেলে তার পথরোধ করে। সে তাঁকে এড়িয়ে যেতে চাইলে জোর করে থামানো হয়। এ সময় তার মামা বিপ্ল­ব (২০) এগিয়ে এসে প্রতিবাদ জানালে জাকিরের সাথে থাকা অন্য বখাটেরা মারধর করে। এ দৃশ্য দেখে বিপ্লবের চাচা আবদুর রশিদ (৫০) ভাতিজাকে বাঁচাতে ছুটে যান। পরে তাকে মাথা ফাঁটিয়ে দেয়। ছাত্রীর বাবা বলেন, গত শনিবার তাকে ও তার মেয়েকে উচাখিলা স্কুল এন্ড কলেজে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর তার কাছ থেকে অধ্যক্ষ ঘটনার বর্ণনা শুনেন। পরে ওই বর্ণনা কাগজে লিখে স্বাক্ষর রেখে বাড়িতে যেতে বলেন অধ্যক্ষ। বখাটেরা তার মেয়েকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়েছে। এ কারণে তিনি মেয়েকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। উচাখিলা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আ. হালিম বলেন, বখাটে ছেলের পরিবারকে খুঁজে পাচ্ছি না। মেয়ের পক্ষের পরিবারের লোকজনকে নিয়ে আলোচনায় বসেছি। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়া হবে। ঈশ্বরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, বখাটেদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ