Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পুলিশ হেফাজতে বাল্যবিয়ের প্রস্তুতি ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ অবশেষে জেলহাজতে

| প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে ১০ম শ্রেণির ছাত্রের বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করার প্রস্তুতিকালে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধের পর, ধর্ষণ মামলা দিয়ে আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় থানা চত্বরে ওই বিয়ে সম্পন্ন করার প্রস্তুতিকালে ইউএনও খবর পেয়ে ওই বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন। জানা যায়, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের কাজীরবলশা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে উচাখিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার ১০ম শ্রেণির ছাত্র মো. দেলোয়ার হোসেনের সাথে বড়হিত ইউনিয়নের পুড়াহাতা গ্রামের আবুল কাসেমের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (১৮) সাথে দেড় বছর যাবৎ প্রেম প্রণয়ের সম্পর্ক চলে আসছিল। ঈশ্বরগঞ্জ পৌর সদরের মেলা প্রাঙ্গণ থেকে প্রেমিক যুগলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে পুলিশ হেফাজতে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করার প্রস্তুতিকালে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধের পর ধর্ষণ মামলা দিয়ে ছেলেকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উভয় পরিবারকে নিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে সদর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রারকে ডেকে এনে বিয়ের আয়োজন করেন। পরে রেজিস্ট্রার বর-কনের বয়স সংক্রান্ত কাগজপত্র চাইলে তা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করে। ছেলে ও মেয়ের বাবার স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। এ সময় খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম থানার ওসি কে ফোন করলে বিয়ে ভেঙে দিয়ে, দেলোয়ার হোসেন কে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত শনিবার জেল হাজতে প্রেরণ করে। ছেলের বাবা আবুল কালাম জানান, থানায় বিয়ের আয়োজন করা হলে ছেলের বয়স না হওয়ায় এবং তাকে চাপ সৃষ্টি করায় থানা থেকে পালিয়ে যান। সদর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. সেলিম বলেন, বর-কনের বয়স সংক্রান্ত কাগজপত্র চাইলে তা দেখাতে না পাড়ায় নিকাহ রেজিস্ট্রি করা হয়নি। উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী হামিদ বলেন, উভয় পক্ষের অভিভাবকদের ডেকে এনে বিষয়টি বিবাহের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ছেলের বাবা চলে যাওয়ায় সমাধান হয়নি। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, দেলোয়ার হোসেনকে ধর্ষণ মামলা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম বলেন, থানা চত্বরে বাল্যবিয়ের প্রস্তুতি চলছে খবর পেয়ে ওসিকে বিষয়টি জানানোর পর বিয়ে বন্ধ করা হয়। কোন অবস্থাতেই বাল্যবিয়ে হতে দেয়া যাবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ