রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা : জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন ফিসের নামে জমি ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতিদিন অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কালাই উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিসে দৈনিক গড়ে একশর বেশি দলিল স¤পাদন করা হয়। দলিলের ধরন ভেদে প্রতি দলিলে গ্রহীতাদের সরকারি ফিস ছাড়াও অতিরিক্ত দুই থেকে চার হাজার টাকা দিতে হয়। সাবরেজিস্টার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং ৭-৮ জন সিনিয়র দলিল লেখককে ম্যানেজ করে কয়েকজন টিসি মহরারের মাধ্যমে এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছেন। এক্ষেত্রে দলিল প্রতি কেবল সাবরেজিস্ট্রারকেই এক হাজার টাকা দিতে হয়। পৌরসভার থুপসারা মহল্লা সাইদুর রহমান মÐল জানান, ১০ এপ্রিল, সোমবার কবরস্থানের জন্য এক শতক জায়গা ৪৭ হাজার টাকা মূল্যের কবলা দলিল রেজিস্ট্রি করতে তাকে দলিল ও অফিস খরচ বাবদ ৯ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। তার কাছ থেকে অন্তত চার হাজার টাকা বেশি নেয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। মাত্রাই ইউনিয়নের হিমাইল গ্রামের মুনছুর আলী জানান, সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রি করতে দলিল লেখক সমিতির লোকজন বিভিন্ন খাত দেখিয়ে অতিরিক্ত ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এক্ষেত্রে ব্যাংক চালানসহ সব খরচ তারা নিজেরাই করে। কোন দলিল গ্রহীতা খাতগুলোর নাম জানতে চাইলে, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার দলিল সম্পাদন বিলম্ব করে এবং তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। বাধ্য হয়ে তাদের দাবিকৃত টাকা দিয়েই দলিল সম্পাদন করতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দলিল লেখক জানান, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং ৭-৮ জন সিনিয়র দলিল লেখককে ম্যানেজ করে কয়েকজন টিসি মহরারের মাধ্যমে প্রতি দলিলে সাব রেজির্স্ট্রার দাখিল ফিস, অফিস রক্ষা ফিস ও পর্চা বাবদ টাকা হিসাবে প্রতিদিন গড় একশ’ দলিলের বিপরীতে অর্ধ লাখ টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হয়। এভাবে প্রতি সপ্তাহে সরকারি ছুটির দিন বাদে ৫ দিনে অন্তত আড়াই লাখ টাকা আদায় হয়। কমিশন দলিলের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়মে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ৪৬০ টাকা নেয়ার বিধান থাকলেও নেয়া হয় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। হেবা দলিলের ক্ষেত্রে প্রতিটিতে ৩৫০ টাকা নেয়ার সরকারি বিধান আছে। জমির পরিমাণ ১০ শতাংশ হলে দিতে হয় ৮৫০ টাকা এক্ষেত্রে পরবর্তী প্রতি শতকের জন্য আরও ২০ টাকা দিতে হবে। কিন্তু কালাই দলিল লেখক সমিতি এক্ষেত্রে হাতিয়ে নেয় পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা। তবে সার্টিফাইড কপির জন্য ১০ টাকার কোট ফি, ৩৫ টাকার স্ট্যা¤প ও সম্পাদন ফিস ৮০ টাকাসহ সবমিলে ১২৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৭৬ টাকা নেয়ার বিধান থাকলেও কালাই দলিল লেখক সমিতি ১২শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে থাকে। কালাই দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও স্টাম্প ভেন্ডার সুজাউল ইসলাম জানান, ফিসের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ সত্য নয়। সরকারি নিয়ম মেনেই দলিল খরচ নেয়া হয়। দলিল প্রতি এক হাজার টাকা নেয়ার বিষয় অস্বীকার করে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার নিলুফার ইয়াসমিন জানান, বিভিন্ন ফিসের নামে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টিও তার অজানা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।