মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈরি আবহাওয়ায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য ৬ ইউনিয়নে স্বস্তিপূর্ণ পরিবেশে সকাল ৮ থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এদিকে শনিবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ ঝড়ের পর বৃষ্টি হলে বিভিন্ন কেন্দ্রের নির্ধারিত সীমানার বাইরে সাঁটানো পোস্টার ছিড়ে নষ্ট হয়ে পড়ে গেছে।

সকালেও দমকা হাওয়ার পর আকাশ মেঘলা হয়ে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত তুলামূলক কম লক্ষ্য করা গেছে। সকাল সাড়ে নয়টায় এ রিপোর্ট পাঠানো সময় পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ স্বাভাবিক হয়ে এলে ভোটারের উপস্থিতিও বাড়বে বলে একাধিক প্রার্থী জানিয়েছেন।

কোন প্রকার বিরতি ছাড়া বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীন জানিয়েছেন।

এদিকে শনিবার দিনভর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৫৪ টি ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালট বক্স ও পেপারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যাবতীয় মালামাল বুঝিয়ে দেয়ার পর তাদের নিজ নিজ কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. শামসুজ্জামান জানিয়েছেন।

উপজেলার ফতেপুর, আজগানা, তরফপুর, বহুরিয়া, লতিফপুর ও ভাওড়া এই ৬ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইউনিয়নের ৩ লখ ১৬ হাজার ৭১৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্য ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫৫ পুরুষ এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৫৮ জন নারী ভোটর রয়েছে বলে উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে।

চেয়ারম্যান পদে ২৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৫৪ ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদের জন্য ১৮৭ প্রার্থীসহ মোট ২৬৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তরফপুর ইউনিয়নের শীরঘারা আশ্রয়ণ প্রকল্প কেন্দ্রের ভোটার টাকিয়া কদমা ভুইয়াপাড়া বাসিন্দা মো জাকির হোসেন বলেন সকালে আবহাওয়ার বৈরি থাকায় ভোটার উপস্থিতি তুলামূলক কম হয়েছে।

এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বাইরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বলে ভোটাররা জানিয়েছেন।

মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের লক্ষে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্ট্রাইকিং ফোর্সও নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।