পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ইউরিয়াসহ সব ধরনের সার বিসিআইসি ডিলারদের মাধ্যমে বিতরণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) নেতারা। তারা বলেন, বিএফএ’র সদস্যভুক্ত প্রত্যেক ডিলার ২ লাখ টাকা জামানত দিয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে চাষি পর্যায়ে সুষ্ঠুভাবে সার সরবরাহের দায়িত্ব পালন করছে। সার ব্যবস্থাপনায় তাদের এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিএডিসিসহ সরকারিখাতে আমদানিকৃত নন-ইউরিয়া সারও কৃষকদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা সম্ভব।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ)-এর ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান। রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে আজ এ সভার আয়োজন করা হয়। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ)-এর চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি মো. মোমেন সরকার। এতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি, কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবালসহ বিএফএর নেতারা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিএফএ’র নেতারা জানান, বর্তমানে বিসিআইসি নিযুক্ত ৫ হাজার ৩০০ ডিলার ও ৪৫ হাজার খুচরা বিক্রেতা দেশব্যাপী সারের সুষ্ঠু সরবরাহ ও বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে। এতে দেশে বিভিন্ন ফসলের বাম্পার ফলন হচ্ছে। তারা মিল গেট ও বাফার গুদামে ইউরিয়া সারের একই মূল্য নির্ধারণ এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে শূণ্য কোটা ছাড়া অংশ বিশেষের জন্য নতুন ডিলার নিয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত বহাল রাখায় সরকারের প্রশংসা করেন। তারা এলাকাভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী মোটা ও চিকন দানার ইউরিয়া সার সরবরাহ এবং বর্তমানে চাষি পর্যায়ে সারের চাহিদা কম থাকায় মার্চ থেকে জুন, ২০১৭ পর্যন্ত সার উত্তোলন ঐচ্ছিক করার দাবি জানান।
শিল্পমন্ত্রী সার ডিলারদের ব্যবসাকে একটি পবিত্র ব্যবসা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ ব্যবসার সাথে মানব সেবার বিষয়টি জড়িত। দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থানে সার ডিলাররা পবিত্র দায়িত্ব পালন করছেন। আমির হোসেন আমু বলেন, জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার সারখাতে বিপুল পরিমাণে ভতুর্কি দিচ্ছে। এখাতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩ হাজার ২৮১ কোটি ৭২ লাখ এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ হাজার ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ভতুর্কি দেয়া হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে ভর্তুকির এ ইতিবাচক উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। এক সময় সারের দাবির কারণে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের গত ৮ বছরে দেশের কোথাও সারের কোনো সংকট হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার আমদানির পরিবর্তে নিজস্ব উৎপাদন থেকে সারের যোগান বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। ৪ হাজার ৮৪৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে নির্মিত শাহজালাল সার কারখানা থেকে বছরে ৫ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি সার উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি নরসিংদীর পলাশে বিদ্যমান পুরাতন দু’টি ইউরিয়া সার কারখানা ভেঙ্গে এর স্থলে একই পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করে দ্বিগুণ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি অত্যাধুনিক জ্বালানি সাশ্রয়ী ইউরিয়া সার কারখানা নির্মাণ করা হবে। ভবিষ্যতে নিবরচ্ছিন্ন সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১৩টি নতুন বাফার গোডাউন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।